Powered By Blogger

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১১

একটি উত্তরাধুনিক কবিতা

এক দুই তিন চার পাঁচ ছয় সাত
আঠারো ঊনিশ বিশ সাতাশ আটাশ ঊনত্রিশ
বেয়াল্লিশ তেতাল্লিশ তিয়াত্তর চুঁয়াত্তর ঊনআশি আশি
ঊননব্বই নব্বই একানব্বই বিরানব্বই

২৯.০৪.১১
পল্লবী,ঢাকা।

বিষাদের পঙতিমালা

নৈঃশব্দ পেরিয়ে স্বপ্ন আসে পাখির পালক বেয়ে
সময়ের সিঁড়ি ভেঙ্গে দূরন্ত কৈশোর পাড়ি দেয়
টাল-মাটাল তারুণ্যে;বন্ধ্যা পৌঢ়ত্ব হাফিঁয়ে ওঠে
যন্ত্রণার অভিঘাতে ভেসে যায় লাম্পট্যের অতল গহ্বরে
বৃদ্ধের নিস্তেজ চোখ দুঃস্বপ্নে মলিন....

উত্তরাধুনিক স্বপ্নে বিভোর কিশোরী নক্ষত্রকে
হাতের মুঠোয় পুরে চিরে দেখে কতটুকু উত্তাপ ছড়ালে
সভ্যতার অন্ধকার দূরে সরে যায়
কখনো বা মুগ্ধচোখে অপার বিস্ময়ে দেখে বিলের শাপলা
ঘাসফুল,প্রজাপতি ছবি আঁকে চোখের তুলিতে
আয়নার দীঘল প্রচ্ছদ জুড়ে জলপ্রপাতের চাহনীতে
সারল্য ছড়িয়ে পড়ে;বাউল বাতাস কানে কানে বলে যায়ঃ
অচিনপুরের গল্প।মাদকতা নেমে আসে দুই চোখ ভরে

অন্ধকারের মশাল জ্বেলে পথ দেখায় বামন
সূর্য নামক নক্ষত্র আধাঁরে হারায়
মিনিটে চব্বিশ টন হাইড্রোজেন পুঁড়েও উজ্জ্বলতা আর
তাপ দিতে ব্যর্থ সূর্য;সভ্যতার আত্মা ডোবে বুড়িগঙ্গা নদে
শতাব্দীর আবর্জনা স্পীড ব্রেকারের বাধাঁ ছড়ানো-ছিটানো
বাতিল অন্তর্বাসের মতো পরিত্যক্ত এ শহরে
অতৃপ্ত আত্মার নাঁচ চলে রাজপথে
শেয়াল,শকুন আর কুকুরেরা মেতে ওঠে আমিষ উৎসবে
খরদহে তেতে ওঠে মরুভুমি দাউ দাউ জ্বলে আকরিক
পারমানবিক চিল আকন্ঠ তৃষ্ণায় পান করে
আমাজান মিসিসিপি নীল ফোরাত দজলা ভলগা হোয়াং হো
গঙ্গার সুমিষ্ট জল;মূমূর্ষ পদ্মার বুক জুড়ে হাইব্রীড
ঈরীর চারায় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কাঁদে জলদাস

নীল সমুদ্রের বুকে মাথা রেখে ঘুমায় যুবক

২৯.০৪.১১
পল্লবী,ঢাকা।

সোমবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১১

মুহম্মদ ও প্লেটো

কত কবিতা লুকানো ছিল হেরা পর্বতের নির্জন গুহায়
নিরক্ষর মুহম্মদ কিভাবে জেনেছিলেন কবিতার শক্তি
শ্বাশত,সার্বভৌমত্ব!অমিত তেজের কথা;জেনে গেছিলেন
কবিতামূর্খ প্লেটোও দার্শনিকের রাজত্ব কবিতার চেয়ে
শক্তিশালী কখনও নয়।তাই কবিহীন রাষ্ট্র
শুধুই প্লেটোর স্বপ্নে,---কবিতার ইতিহাসে ঠাঁইহীন প্লেটো
মহাকাব্যে,ইতিহাসে মুহম্মদ অমর,অজেয়........

১৮.০৪.১১
পল্লবী,ঢাকা।

বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১১

নববর্ষ

নূতনত্বের উৎসবে চারিদিক মাতে
গাছের শাখায়,পথে,রবীন্দ্র সরোবরের তীরে
নানা আয়োজনে ব্যস্ত সবাই মঙ্গল শোভাযাত্রা
রবীন্দ্র সঙ্গীত,মেলা,নৌকা বাইচ,ইলিশ-পান্তা
বাসন্তী শাড়িতে মুখরিত তারুণ্য ঝলসে ওঠে

আমার শোবার ঘরে কোন ক্যালেন্ডারই রাখি নি


১৪.০৪.১১
পল্লবী,ঢাকা।

পুরুষ

আমার যৌনাঙ্গ চাটে বেজন্মা পুরুষ
মাছি যেমন খুবলে খায় ঘায়ের দুর্গ্নন্ধ কষ
তেমনই রজঃস্রাব মরুর তৃষ্ণার্ততায় চেটে খায় সভ্য
সু-শোভিত পুরুষেরা;রাতের আঁধারে স্তনবৃন্ত
খুঁটিয়ে পরখ করে মেহেদী রাঙ্গানো দাঁড়ি,টুপিতে আবৃত
লোল-চর্মহীন বৃদ্ধ পুরুষের নখের আঁচড়
নির্বীয পুরুষ সাদা ধবধবে চাদর বিছিয়ে
বিছানায় নিয়েছিল কুমারীত্বের পরীক্ষা নিতে

নারীর অবমাননা আর কতকাল


১৪.০৪.১১
প...

দুঃখের প্রচ্ছদ

ব্যর্থতায় কেটে গেল একটা জীবন
সমুদ্দুরের তলায় শামুকের খোলের ভেতর
গুটিয়ে দেখেছি সূর্য নেই তবু আছে জীবনের স্পন্দন,নিকষ কালো
অন্দকার আকাশেও নক্ষত্রেরা ধিকধিক জ্বলে
কাছিমের লম্বা গলা বের করে দেখিঃ
সুখের অস্তিত্ব কত ক্ষণস্থায়ী,ভোরের শিশির
দীর্ঘশ্বাসের প্রচ্ছদ আঁকা হয় বাউল বাতাসে

কতটুকু দুঃখ পেলে পাথর চৌচির হয়ে যায়


১৪.০৪.১১
পল্লবী,ঢাকা।

ব্যভিচার

ব্যভিচার/রবিউল মানিক

(ওয়াল মুহ্ছানা-তু মিনান নিসা-ই ইল্লা-মা-মালাকাত্ আইমা নুকুম,কিতা-বাল্লা হি 'আলাইকুম,ওয়া উহিল্লা....
অনুবাদঃএবং নারীর মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ,তোমাদের জন্য এটা আল্লাহর বিধান...
৪ সুরা নিসা,মাদানী,পারা-৫)


মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ক্রীতদাসী কিনি
(পৃথিবীতে আজ আর ক্রীতদাসের বাজার নেই)
বৈধ ব্যভিচারে মাতি সারাটা উপমাময় রাতঃ
যার শাস্তিস্বরুপ পাথর কিংবা বেত্রাঘাত করবে না কেউ

১৪.০৪.১১
পল্লবী,ঢাকা।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১১

পথ

সব পথ একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে
ভৌগলিক পথগুলো ঠাঁই নিয়ে নিচ্ছে ইতিহাসের পাতায়
তবু পথে পথে কেন এতো লাল গালিচা উৎসব
বুনো গোলাপের ঝাড় উপড়ে,রক্তাক্ত এই হাতে
উত্তপ্ত পিচের সাথে শরীর নিংড়ানো ঘাম আর দীর্ঘশ্বাসে
মিলেমিশে একাকার করে গড়ে তোলা
অবিশ্বাসী পথ আজ চেঁপে ধরেছে বুক ও গলা

আমি পরিবেশবিদ না হয়েও জানিঃ
হাইড্রোলিক হর্ণের কান ফাঁটানো বিকট শব্দ,ডিজেলের কালো ধোঁয়া
আমার সন্তানদের জন্যে মোটেই সু-স্বাস্থ্যকর নয়

সমস্ত সুপার হাইওয়ে পথিকের জন্যে খুলে দাও

০৮.০৪.১১
তপল্লবী,ঢাকা।