Powered By Blogger

মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১২

তর্পণ

 


নিস্তরঙ্গ জলের ওপর লিখি নাম মিলনের
পাতালে বিলীন প্রণয়োপ্যাখ্যান

কামনার ঝড়ে খসে পড়ে বোবা কালরাত্রি
রক্ত কণিকায় জমে স্বেদাক্ত বিরহ

রক্ত-পুঁজ-ঘামে মাখামাখি ভালোবাসা
গিলে খায় মাতাল জোয়ার

বিধবার সাদা থানের মতোন শিউলির শব পথে পথে
চন্দন,অগুরু কাঠ জ্বেলে মেতে উঠি অগ্নিসৎকার ও তর্পণের মহোৎসবে

অসম্পূর্ণ কবিতা


বিকেলটা ফুটে ছিল থোকা থোকা জামরুলের মতোন
সময় স্থবির হয়ে ছিল;
আসন্ন বিদায়বেলাকার কথা ভেবে,---
কুয়াশার দোলাচলে শালকীর জল
ঝিম মেরে গিয়েছিল আর মূঢ় চোখের দৃষ্টিতে
বিষন্নতার নিষাদ খেলা করে যাচ্ছিল অবলীলায়

তবুও মানুষ চিরকাল মানুষকে নিভৃতে আশ্বাস দিয়ে গেছে

বিবমিষা

পান্ডবেরা জানতেন
তাদের অজ্ঞাতবাস শেষে
ইন্দ্রপ্রস্থ রাজ্য,সসাগরা পৃথিবী তাদের করতলগত

আর আমার অজ্ঞাতবাস শেষে
বন্ধু,স্বজনদের শুধুই বিবমিষা

 

নদীর জন্ম

নদীর কিনারা ঘেঁষে হাঁটছিলাম একাকী
ঢেঊগুলো পরস্পর কথা বলছিলঃ
দেখো,আগুন, আগুন বলে বৃথাই চেঁচায় ঘরপোড়া মানুষেরা
আমাদের গতি রুদ্ধকরে ওদের কি লাভ?
শেষ পর্য্যন্ত আমরা ঠিকই মিলিত হই সমুদ্রের সাথে

মহাজাগতিক বোধ পেরিয়ে অতীতে পৌঁছে যাইঃ
তখনো নদীর জন্ম হয় নি শীতের সাথে
পাহাড়ের মৈথনিক প্রেম সবে শুরু
সারারাত পাহাড়ের কোলে মাথা রেখে
শীত গল্প শোনাত উত্তর মেরু পেরিয়ে কিভাবে
এখানে পৌঁছেছে
সীল,তিমি,ভল্লুক,পেঙ্গুইনের গল্প শুনতে শুনতে
আনমনা হয়ে যেত পাহাড় বিষন্নতার ম্লান দীর্ঘশ্বাসে
ভারী হয়ে উঠত শীতের বুক
বুঝে গিয়েছিল স্থবিরতার যন্ত্রণা,---
এভাবেই কেটে গেল পুরো শীতকাল
অবশেষে বসন্তের শুরুতে বিদায় নিল শীত
বিরহের যন্ত্রণায় কুঁকড়ে রইল পাহাড়ের বুক;

অতঃপর ধীরে ধীরে স্ফীত হল পাহাড়ের পেট
একদিন জরায়ু বিদীর্ণ হয়ে কলকল ধ্বনিতে বেরিয়ে এল
শীতের স্বেদাক্ত ভালোবাসা