মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
তারপর ক্রমশ...ক্রমশ তারপর
রমণীর শরীরের ভেত্র যে ধর্ম ---
স্বপ্নকে স্তম্ভিত করে গর্ভ,শূন্যদৃষ্টি,মরুঝড়ের মতোন
ঢুকে পড়েছিল চুলের খোঁপা ও কাঁচুলির ভাঁজে
জউথুব এক মধ্যরাতে সর্বস্ব খোয়াল
তার পরের বিকেলে বেশ সপ্রতিভ
পাড়া-প্রতিবেশীদের মাঝখানে
পরের বছর এবং পরের বছ্র
তার শরীরের অভ্যন্তর খুঁড়ে দু'টো ছায়া
তারপর ক্রমশ.......ক্রমশ তারপর
ধাত্রীমাতার ধর্ষণঘাথা
নিরুত্তাপ অন্ধকারের ভেত্র একটানা নিশিডাক
রুগ্নমাটি,উদ্ভিদ ও ঘাসে হেমন্তের শূন্যতা;তোমরা ধূলোপায়ে
ফিরে এসেছ - উঠোনজোড়া মৃত্যসঙ্গীত
জরা ও মৃত্যুর দিকে অনন্ত-যৌবনা ঘৃত কুমারীরা নেচে যাচ্ছে
উলঙিনী নাচ
রৌদ্র ও বাতাসে নগ্ন দেহের প্রচ্ছায়া
এত নগ্ন দেহ সাবানের বুদবুদে ঢেকে যাবে
ঠোঁট থেকে ঠোঁটে ঝরে পড়ে অমৃত লালা ও যৌনবর্ধক রসায়ন
কেঁপে ওঠে লৌহদন্ড
প্রতিটি কুমারীর কাঁধে দংশনের চিহ্ন,যৌনপ্রহারে যৌনপ্রহারে
তাদের ভয়ার্ত চোখে নিষ্কৃতির স্তব
সবাই তাকিয়ে আছে
নড়ছে না কেউ
যেন রৌদ্রে অভিনীত ধাত্রীমাতার ধর্ষণঘাথা
পরিবর্তন
তোমার ঠোঁটের কোণে মিথ্যে লেগে আছে
চোখে ধূম
মনে পড়ে না স্নেহ রঙিন দিন,প্রেম,প্রতিশ্রুতি
যেটুকু দেখার দেখার ছিল - শুষে নিয়েছো করুণা,হাঁড় থেকে মেদ-মজ্জা
মনের মন্দিরে এখনও বাজছে ঘন্টা
এনেছ,পূজার ফুল,বেলপাতা
সিঁড়ি পথে আগাছার স্তুপ
আমি চিরকাল আথর সরিয়ে পথ হেঁটেছি;শষ্পের মতো
একদিন বলে উঠেছিলাম কবিতা,শুধু কবিতা দিয়েই পৃথিবীটা পালটে দেব
দিয়েছি,কবির কথা মিথ্যে হয় নি কখনো
শুধু আমার ক্ষমতা হয় নি তোমাকে পাল্টানোর
মায়াবশে লেখা কবিতা
তুমি বোঝ নি ছড়ানো প্রেম
অগ্নিদগ্ধ পথে পায়ে পায়ে ছাই ওড়ে
সামনে জলের পথ - - - যতদূর দৃষ্টি যায়
মায়া-মরীচিকা
মায়াবশে লেখা এ কবিতাগুলো ছাড়া আর
আমার কিছুই অবশিষ্ট নেই
গভীর রহস্য
শরীরের ঘাম ও গর্জন থেকে স্পষ্ট ঝরে পড়ে ঈগল্বিষাদ - যে বিষাদ মহা জাগতিক এবং প্রেমিকের হৃদয় আর প্রেমিকার করতল থেকে জন্ম নিয়েছিল - নিজের সম্পূর্ণ শরীরের ভার যখন প্রেমিকা শুষে নিয়েছিল তখনও বিষাদ পারমাণবিক বিস্ফোরণে ছিন্ন-ভিন্ন হয় নি - যুগল আত্ম-হননের স্মৃতি কিংবা মৃত্যু পরবর্তী শোকসভাগুলো হয়ে ওঠে এক ঈর্ষা-পরায়ন সহকর্মীর তামাশাস্থল - ওই সময়ের পাহাড়ীগান ও জলে মৃত্যুর প্রকৃত চোখে ভেসে ওঠে নীলপদ্ম ছায়া- মাটি ও সূর্য্রশ্মিতে যে জীবন ছিল - বহু তত্ত্ব,প্রজ্ঞা এমনকি নির্বাণের মোহ ভেঙে ঋষি ও তপস্বী ক্রিয়াশীল গাছের তলায় কামসূত্র এবং কথাকলি - ব্রাম্মনিতম্বিনী নারী ও যুবতীদের সোনার কাঁচুলি খুলে সরোষে জানান দেয় প্রত্যাখ্যান অনিবার্য্য - আলিঙ্গন ও ত্রাণের কৌণিক নগ্নতা এবং দৈব প্রজননে সৃষ্টির কী গভীর রহস্য
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)