শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫
পাঠ-প্রতিপাঠ
সুপেয় জলের বাষ্প থেকে খালি গায়ে নেমে এসেছ?সর্বাঙ্গ ভেজা,শিরদাঁড়ায় রহস্যময় জীবাণু কথা --- ধর্মচ্যুত,নিরাশ্রয়ী আমি সৌন্দর্য্য ও প্রসবের লগ্নে হাসপাতালের টানা বারান্দায় উদ্বিগ্ন পিতার অপরাধবোধে জর্জরিত মুখে প্রশান্তির ছায়া দেখেছি অর্থাৎ প্রুতিশ্রুতি ছিল - আত্ম-বিবৃতির সুনিপূণ উন্মাদনা পরিপূর্ণ,বিরোধপূর্ণ লেখা ও কবিতায় দূরত্ব ঘটেছে । পিতা,পিতামহ ও অন্যান্য পূর্ব-পুরুষের রক্ত কণিকায় ঘূণে পোকাদের বাস ছিল - ভুলে গেছে উন্মাদ উত্তর পুরুষেরা।আমরা তো স্থির বসে আছি,বুকে জগদ্দল পাথরের ভার।হিংসার আবর্ত স্রোত,বিকৃত মুখের ছটা এবং গোধূলি বেলার গল্পগুলো একই রকম বহমান - আবহমানতা অর্থাৎ সূক্ষ্ম ও স্থুল অনুভূতিগুলো ধ্রুবক,অপরিবর্তনীয়।
প্রেমিকার মুখরতা,প্রিয় বন্ধুর শঠতা - কীট ও ঘাসের গল্পে আমার সাধ্যের নৌকা দুলে উঠেছিল - তারো বাস্তবতা ঘণীভূত হয় অগ্নিমান সময়ে - প্রার্থনারত ময়ূরেরা ক্রমাগত সূর্যহীনতায় মেঘ ও বৃষ্টির গর্ভ খুঁড়ে ডুবে যেতে চেয়েছিল - জলসিঞ্চনের প্রতিভা শিখিয়েছিলে - বিন্যাসিত কূপে মৃত্যুপথ যাত্রীরা জলের স্তরে ইস্পাতের ভাঙা ফলা ভেসে যেতে দেখেছিল - এতো ইস্পাত কাদের কল্যাণে নিহিত - ইতিহাস উক্ত রাজা ও সম্রাট এবং স্বপ্নে দেখা ভিখারিণী,- কারও জন্যে আমার প্রতীক্ষা নেই।বিরুদ্ধগামী সময়ে পুকুরের শাপলায় কূমারীত্ব নষ্ট হোক - আমি আর কিছু দেখব না - তোমাদের ভৌত রসায়ন,মহাকাশ সভ্যতা ও অর্থনীতি থেকে আমি কোন পাঠ না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।
আমিই প্রথম পুরুষ-এ পৃথিবীতে যার করণীয় বিবেচিত নয়।
শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৫
বুকচাপা সমুদ্র গর্জন
গোধূলির মতো নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে আছ
প্রত্যেকটি অঙ্গ-ভঙ্গির ভেতর শতাব্দীর বিষাদ,পাথুরে চোখে সূর্যাস্ত,রাত্রির জিহ্বা
চেটে নেয় ফ্ল্যাটবাড়ি,আকাশ ও জল
নিজেদের চেনা বাড়িটিকে মনে হয় অচেনা পান্থনিবাস
রাতের আড়ালে নগ্ন ঠোঁট কেপে ওঠে অনাবৃত ভয়ে
আকন্ঠ চুম্বনশেষে বিছানাজুড়ে লুটিয়ে পড়ে বুকচাপা সমুদ্র গর্জন
শূন্যদৃষ্টিতে জেনেছি প্রত্যাখ্যান অনিবার্য্য
টের পাইঃসমস্ত অস্তিত্ব থেকে ঝরে পড়ে মানব লুপ্তির ইতিহাস
নৈঃশব্দ ও স্বপ্নাদেশ এড়িয়ে কেবল খুঁজে নিতে চেয়েছি,--- সরল মুহূর্তের
সবুজ সমীকরণ - সান্ধ্যভাষা ও প্রতীকচিহ্নে
তোমার দু'হাতে মঙ্গলদীপ,নৃত্যারতা,- নিঃশব্দে দূরত্ব কমে
ঝর্ণাতীরের পাশের মাঠে
বাতাসবিন্দু
সংবাদপত্রহীন বনের আরও গভীরে বাতাসে পাতাদের সশব্দ সন্ত্রাস
ঝরে পড়ে শুষ্ক ফল,গাছেদের ছিন্ন ত্বক
দুপুরের রোদপোড়া বনে আমার ভেতরে শত-সহস্র গাছের শাখা
শিরা-উপশিরায় সবুজ ক্লোরোফিল----
সকলের অগোচরে এই বনজ ভূমিতে শয্যা পেতেছি;হেমন্ত এবং
এর সৌন্দর্য্য ও ধ্বংস প্রতিভা,____ অন্তরীক্ষে
খুলে যায় শরীরের গিঁট
বনের তলার মাটি ফুঁড়ে ভাপ উঠছে -সরিসৃপেরা ঘর ছেড়ে
বেরিয়ে পড়েছে - শ্বাপদ ও শকুনেরা তাকিয়ে দেখছেঃ
দুই চোখে লালা
অশ্রুপাত ও রক্তের রঙে একদিন ওরা জেনে যাবে
শরীরের প্রতিটি হাড় ও রক্ত কণিকায় সামাজিক দুঃখ
হৃদপিন্ডে,ফুসফুসে গভীর ফাটল এবং
কিন্নর শরীর ততদিনে জল,সব অম্লজান
বাতাসে বাতাসবিন্দু হয়ে সব মিশে যাবে
শিল্পের সৌন্দর্য্য
গন্ধমুষিকেরা ছুটে আসে - জুলু-টোটেমের লাল ঝুঁটিতে আদিম উজ্জ্বলতা - হায়!যে শিল্প ও শিল্পের প্রেরণায় প্রেমিকার চোখের গভীরে,দুঃখের ভেতরে পথ থেকে পথে চারণ কবিতা এবং ভ্যানগঁগের সমস্ত ছবি জ্বালিয়ে দিয়েছিলাম - একেকটি কবিতা ও ছবি - চেতনার মর্মমূলে যে শূন্যতার নির্মাণ করেঃ একজীবনের সমস্ত কবিতা এবং শিল্পের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছিল তত্ত্ব নির্মাণ ও বিনির্মাণে।
অন্তর্মূখী ছায়াপথে গম্ভীর নক্ষত্রসভা - রাত্রি ততটা জটিল নয় যতটুকু হলে শিল্পের সৌন্দর্য্য আর কবির সংসার ভেঙে পড়ে এবং কবি অবিরাম বালির ওপর লিখে যায় ।
শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০১৫
মুখ ও মুখের প্রচ্ছদ
চারিদিকে এতো আবির,গুলাল,___
রাঙা ফাল্গুনের পূর্ণিমা তিথির এই মাহেন্দ্রক্ষণে বৈষ্ণবী
দোলযাত্রার উৎসব ফেলে কোথায় গিয়েছ
আমি দশদিকের বিষাদ হাতের মুঠোয় ধরে রেখেছি;
ক্ষেত-পথ ও আঙিনা ভরে আছে রক্তের রঙে
মঠ ও মন্দিরে পুরোহিতের পাথরকীর্ণ দুঃখ
অ সোনাবৌ,তুমি দেখ আমি বেঁচে আছি
ছদ্মের সংসারে কানামাছি খেলে জগৎ ভুলেছি
তুমি ফিরে এসো
আদ্যিকালের পুকুরে ডুব দাও
মুখের প্রচ্ছদ মুছে গিয়ে
বেরিয়ে আসুক অন্নপূর্ণা সাজ
আনন্দ ও বেদনার সীমারেখা
সঙ্গোপনে দেখা হয়েছিল।আমি দেখিন নি;হয়তো
বারান্দার রেলিঙ ঘেঁষে বিকেলের শান্ত পথে চোখ গেঁথেছিল।
এখন,দূরান্তে দৃষ্টটি।
অতলান্তিক সমুদ্র আর কতটা গভীর?
তোমার চোখের পাপড়িতে বন্দরের বিষন্নতা।প্রথম আবির্ভাবের মতো
--- শুচি কুমারী,ভাষার কূটচালে দূরদ্বীপে কেঁপে ওঠে
ক্ষীণ ঠোঁট।ঘাটে বাঁধা নৌকা নেই।সব ছুটে গেছে।
জাল ফেলছে সমুদ্রে
এখন সময় কত?যারা এসেছিল সৈকতের বালি পার হয়ে;
বলে দিয়েছি,তাদেরঃআনন্দ ও বেদনার মধ্যে সীমাহীন
যে রেখার ব্যবধান - সেটা ছুঁয়ে দাও ।
ছাইমাখা নাচ
সুষমা ছিল না কোন
সুর,ছন্দ কিংবা পাখিওড়া ছায়ায় এগিয়ে আসে
কয়েক হাজার চোখ - লক্ষ মোউমাছির হুল
সারা রাত্তিরের ক্ষত মুখে
ঈর্ষা পরায়ণ যে প্রতিবেশীরা ঘিরে দাঁড়িয়েছিল উঠোন
ঘরের দরোজা খোলা পেয়ে কেউ কেউ
মুছে নিয়েছিল সিঁদুরের টিপ,শাঁখা____
শ্মশানে উৎসব শুরু হয়
কালু ডোম নাচে
ছাইমাখা নাচ
ভাঙা পথ
বাসন্তী রঙের শাড়ী,লাল পাঁড় - বেশ মানিয়ে গিয়েছে
দুই হাত ভর্তি কাচের রেশমী চুড়ি
রৌদ্র ও ঘামে তোমার কপালের টিপ চকচক করছে;এলানো খোঁপা
এবারের বৈশাখী মেলায় প্রিয়ে তোমার দু'চোখে সমুদ্রের আল্পনা;কোকিল্ভাষ্যে
উড়ে যেতে চেয়েছিলে
আমি শস্যমূল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম
তুমি উড়ে যাবে
সাঁতরাবে
সাঁতারের ক্লান্তি কত
ঐ নদীর স্বচ্ছ জল তোমাকে ডাকছে আর
পাখিরা আকাশ খালি করে দিল
তোমার চোখের ভাষায় ভয় ও সংশয়
দুই পায়ে দ্বিধা ও জড়তা
যে চোখে তাকিয়েছিলে
যে দিন আমাকে ছুঁতে চেয়েছিলে - - -
আমি হয়েছিলা শ্মশানকাঠ,শ্মশানের পোড়া কাঠ
কবিদের এত শক্তি নেই যে পথকে জোড়া দেবে
সুমন্ত কবিতা
চিতা জ্বলছে,__ দেখতে পাচ্ছ চন্ডালের ছাইমাখা নাচ
দুই একটি অক্ষর,অক্ষরের ক্রমে শব্দ এবং
শব্দ থেকে সু-সংহত বাক্যে পয়ারের মিল
এইভাবে ক্রমশঃ আমার কবিতারা বেড়ে উঠেছিল আর
দূরন্ত সাহসী হয়ে তোমার বুকের কাঁচুলিতে পূর্ণ হয়েছিল
সে স্বপ্নের শেষ হয়েছিল আঘাটায়
তার পৈঠাতে এখনও লেগে আছে যৌনতার ধোয়া দাগ
আগামী বর্ষায় এই পথ মুছে যাবে
অনন্ত বর্ষার জলে যা ভাসতে থাকে
তার সবটুকুই কবিতা
অন্য গ্রহের বাসিন্দা
বকুলগন্ধার রাতে প্রাচীন দিঘীর জলে পদ্মপাতার শুচিতা
চারদিকের আকাশ ভরে আছে ভস্মে
প্রেমিকের অভিমান কত তীব্র -
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের শেষ রশ্মি
অভিশাপে ভরে আছে
তা কি তোমাকে ছুঁতে পারবে
তুমি তো এখন অন্য গ্রহের বাসিন্দা
নিমগ্ন আলো ও জলের তোড়ে
কুমার নদের তীরে গোধূলির পাকা রঙ,সূর্যাস্তে এতো বেশী আলো
দুই চোখের মণিতে বিশ্ব-চরাচর,উত্থান ও উচ্চাশার বীজ
শহরতলীর পথে আমার নিজস্ব নামে আদিম লতাগুল্মের ঝোপে
খোঁড়া,আতুর ও বধিরেরা জয়ধ্বনি ও পতাকা ওড়াচ্ছে
স্বাধীনতার গোপণ টানে আমার পিঠের দুই পাশে ডানা গজিয়েছে
উড়ে যেতে চাও মেঘ পাহাড়ের কাছাকাছি
অই মেঘে জল আছে,অই মেঘে বৃষ্টি আছে
গভীর রাতের জলতৃষ্ণা মিটে যাক আর
প্রিয় কুমার নদের তীর ভরে উঠুক নিমগ্ন আলো ও জলের তোড়ে
নীল বিষাদ
যারা বালির উত্থানে ভীত হয়েছিল
নিভৃত আশ্বাসে সামুদ্রিক ঢেউ তাদের ভাসিয়ে নিয়েছিল
জীবনমৃত্যুর মাঝামাঝি বায়বীয় জালে
আটকে রয়েছে ক্ষুধা,প্রেম,পরাভব
আমাকে ভালোবাসার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলে
ছুঁড়ে ফেলে সনাতনী দেহভার - কার কাছে যাব
তোমার পায়ের কাছে কুকুরকুন্ডলী শুয়ে থেকে
অঞ্জলী পেতেছি
ব্রাম্মমুহূর্তে চেয়েছিলাম - এক জীবনের অবসাদ
মাথার ভেতর জ্বলে ওঠে একশ হাজার নীল বাতি
তোমার ঘরের নীল পর্দা বাতাসে উড়ছে
এতো বিষাদ কোথায় ধরে রেখেছিলে
শুদ্ধিস্নান
সিঁড়িতে বলির রক্ত - - - মুছে দেয় বাঁশপাতা
মন্দিরে বিগ্রহ নেই - - - লতিয়ে উঠছে সাপ
তুমি আর দাঁড়িয়ে থেক না
পালাবে,কী লাভ পালিয়ে
বরঞ্চ দু'হাতে মেখে নাও রক্ত
আমার মদের গ্লাসও রক্তে ভরা
ঠোঁটে ধরে আছি ফেনায়িত হাসি
প্রেতের নাচ ও পানোৎসবে বেমানান দাঁড়িয়ে থেক না
একে একে খুলে ফেলো শাড়ী,ব্লাউজ,কাঁচুলি
অতঃপর সভ্যতার রক্তে শুদ্ধিস্নান
সোনালী বিভ্রম
একটানা দু;সহ বৈশাখ।দুঃস্বপ্নের ভেতর চলছে একদল অভিযাত্রী।
পেটিকা ও বোঁচকায় লেখাঃপথ।ক্ষুধা।শ্রান্তি বিনোদন।আশ্রয়।পুরানো ঘর এবং
গ্রীষ্মরাতের একাকী দুঃখ।
অশ্রুর সীমানা ছুঁয়ে শুরু হয়েছিল বিষুব শূন্যতা;
সেই দ্বিতীয় বেদনা আজ সত্যিকারের বিমূর্ত আর চৈত্রদুপুরের ক্রোধ,---
নৈঃশব্দের চলচ্ছায়া,পায়ের গভীর দাগ ও বিনীত অবিশ্বাসে
যারা পথে নেমেছে - দিগন্ত থেকে উড়ে আসা কাকের অক্ষরে
চোখের সামনে যতদূর দৃষ্টি যায়
শুধু সোনালী বিভ্রম
শুধু একবার নারী নয়,মানবীর বেশে অবতীর্ণ হও
সুদূর পরাহত প্রবাসী নারী
বনজ সঙ্গীত ভালোবেসে একদিন এ শরীর ছুঁয়েছিলে
এই সে বনের পথ একদিন এখানে ফুলের মালা গেঁথেছিলে
এই সেই জলাশয়;যেখানে সমস্ত শরীরের সুখ মুছে নিয়েছিলে
এই যে তমাল গাছ,মহুয়ার সারি
পিঁপড়েরা দেশান্তরে ছুটে যাচ্ছে- মুখে ডিম - অস্থির তাদের চলাফেরা
মহুয়া ফুলের গন্ধে মাতাল বাতাস,মাতাল মৌমাছি
কিছুতেই ফিরবে না জানি তবু
একবার,শুধু একবার নারী নয়,মানবীর বেশে অবতীর্ণ হও
চান্দ্রপথ ও হাড়ের পাশাখেলা
জানালার বিপরীতে রাতের জোনাকী
রক্ত ও আনন্দমাখা প্রেত নাচছে;যেহেতু ঘুমাই নি
অন্ধকারে সাদা হাত বাড়িয়ে দিয়েছি
কালো,অপুষ্পিত - যা যা আছে
হরিণের চামড়া,শুশুক,ময়ূরের চোখ ও পালক,
ছিন্নভিন্ন মানুষ ও পাখি
এইখানে পড়ে ছিল বলে - ওপারের বধ্যভূমি,খড়ের কাঠামো ফেলে
কিছদূরে বদ্ধ নদীর কিনারে চাঁদ একা বসে থাকে
পায়ের তলায় রাত্রি,সকালের ব্রতে
প্রাচীন অক্ষরমালা ঘেঁটে অন্ধ পেঁচারা নিরাপদেই ঘরে ফেরে
কেউ জানে নি মাটির ঢিবি,রাতের পাহারা
মাটির গভীরে আরো ঈর্ষা,চান্দ্রপথ ও হাড়ের পাশাখেলা
সমানুপাতিক ছায়া
ক্ষুধারুপিনীর ছড়ানো আঁচল।ভাঙা পানপাত্র।
অনাসক্ত মাটির সানকি।চুলার ওপর জটাফুল।
অস্তিত্বের প্রশ্নে লোহাচূর্ণ,শৈবাল,কচুর শাক
গুড়ি,গেগলি,শামুক এবং আরও কিছু.....
এই শতাব্দীতে অনাহারী মানুষের খাদ্যনালীতে সতর্কবার্তা
ঝুলিয়ে দিয়েছে - অনাসক্ত বিস্ময় চিহ্নের মতো ।
পতন-উন্মুখ আসুরিক সভ্যতার জারিত উন্মাদ রসে
অগণন মানুষের সমাগম। দেশ-জনপদ সামনের দিকে
না-কি পেছনের পথে?সরল অংকের মতো অর্ধসত্যে কিংবা
কূট-পরিক্রমায় সমূহ প্রশ্ন চাপা পড়ে আছে।
স্বাক্ষরতার হারের ঊর্ধ্বঃক্রমে আনন্দিত নগরপাল অথচ জন্ম এবং মৃত্যুহারের
আপাত পার্থক্যে সীমাহীন ব্যবধান।
পদ্মদিঘী আর বাঁশবনে সমানুপাতিক ছায়া ফেলে উড়ে যায় বালিহাস
ডুব সাঁতার ও লগিঠেলা
নিঃসঙ্গ পথিক জানে সামনের গহ্বর,মৃত্যুর বাঁক
একদিন অতৃপ্ত প্রেমিক জেনে নিয়েছি শরীর ---
তার সমস্ত সীমান্ত চৌকি,লোভনীয় ভাঁজে অসংখ্য কামার্ত ঊরু শুষে নেয় আর
শরীরের নীচে উন্মাদ শালকী,দাম,শ্যাওলা ও জোঁক,---
তারপর নিমজ্জিত জাহাজের মতো বিসর্জন
জ্যোতিষ্কপুঞ্জের অভিমান ততটা নির্ভার নয়
যতটা আমার বুক,পেশী ও পাঁজরে ক্ষত
শালকীর স্রোত থেকে ভেসে ওঠা আলোর ভেতর
বসন্তদিন ও রক্তমাখা চোলি ---
আত্মার গভীরতর বাস্তবতা মেনে নিয়ে
পূর্বাপর স্রোতের বিপক্ষে লগিঠেলা ও ডুব সাঁতার
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)