Powered By Blogger

বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৩

ঋতুহীন পৃথিবী

যেদিন আকাশটাকে লিখে দিলাম তোমার নামে
দু'চোখের ঢালু কোল বেয়ে গড়িয়ে নামল কিছু তপ্ত অশ্রু

এমনই হৃদয় বাহিত ফোঁটা ফোঁটা চোখের জলেই
একদিন কেনা হয়েছিল আস্ত এক সমুদ্দুর

আকাশ নিবিড় হবে নামহারা বেদনার নক্ষত্রের চুমকি বসানো
কালো চাঁদোয়ারা হয়রানিকর প্রহেলিকার জন্মই দিয়ে যাবে শুধু
ভাষাহীন নির্বাক পাথুরে খর চোখের দৃষ্টিতে মৃতের মতো উদাসীন
শীতল নির্লিপ্ততায় যদি ঋতুহীন পৃথিবী উন্মুখ হয়
রৌদ্র ঢেকে দেবে তাকে নিষেধের অন্ধকারে
কালরাত্রির নিঃস্বন আতশবাজির স্বপ্রোণোদনায় ছড়িয়ে পড়বে চতুর্দিকে

একাকী ভালোবাসার তাপে মাটির শীতল স্পর্শ
পাওয়ার জন্যে পৃথিবীটা কিনে নেবো

মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩

পদার্থ ও বিকিরণ

মেঘের ওপারে গোটা আকাশটাকেই লিখে দিলাম জীবনস্বত্ব
ভোগ-দখলের অধিকারে
এবং নিঃস্ব ফিরে দাঁড়ালাম

দূর সমুদ্রের সীমান্তে আকাশ মিশে একাকার হয়ে গেছে
সময়ের স্তর ভেঙে সামুদ্রিক উচ্ছ্বাসে নক্ষত্রদল
ঝমঝম শব্দে বুকের ভেতর নামহীন বেদনার সুর তোলে

সেই সুরে অবসন্ন ঘুরে দেখি
সৈকতের ভেজা বালিতে উপুড় হয়ে শুয়ে আছে সন্তাপিত প্রেম
আর মহাশূণ্যে নিয়ত মিথষ্ক্রিয়ায় লিপ্ত
পদার্থ ও বিকিরণে

রবিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৩

অ্যাডোনিস,আফ্রোদিতি ও নার্সিসাস

তোমার বাগান থেকে অ্যাডোনিসের দেহনিঃসৃত রক্ত থেকে জন্ম নেয়া
গোলাপের পাঁপড়ি যেদিন তুলে দিয়েছিলে আরক্তিম গোধূলিতে

সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম আফ্রোদিতির অশ্রু মাখানো অ্যানামাইন ফুলে
ছেয়ে যাবে হৃদয়ের অকর্ষিত জমি

সন্ধ্যার প্রগাঢ় অন্ধকারে ডুবে থাকে অহংকারী নার্সিসাস

নিরহংকার পৃথিবী

সর্পিলাকৃতির কুন্ডলিত অবয়বে রাতগুলো আসে ছায়াপথের সমান দীর্ঘ
ঘটনাবিহীন নিঃসীম শূণ্যতা্ময় বিকিরণে পূর্ণ অণু এবং অপসূর বিন্দু
ভেদ করে রুপালী মড়ক আসে অতীতকাল পেরিয়ে এক সুবর্ণ সসীমকালে
মুছে নেয় জীবনের সব মুকুলিত স্বপ্ন।

ধূলিমলিন তেলরঙে আঁকা পূর্বসুরীদের আনন্দমুখর মুখগুলো অপমানে ন্যুব্জ
ঝুলে থাকে পলেস্তারা খসানো দেয়ালে;কৃষ্ণা চতুর্দশীর উজ্জ্বল অন্ধকার
আচানক বুকের ভেতর ঢুকে পাঁজরের হাঁড় গুড়ো করে মিশে যায়
চনমনে রক্তের নদীতে ঢেউ ওঠে ফুলে-ফেঁপে মৃত্যু সঙ্গীতের সুমধুর রাগিনীতে
অবেলায় ঘুম ভাঙ্গে;দুই চোখে নেমে আসে শ্রাবণের অঝোর ধারার জল।

নাক্ষত্রিক প্রহেলিকার সবুজ ঘাসে ঢেকে থাকে নিরহংকার পৃথিবী।

শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১৩

মৃত্যু এবং জীবন

জীবন আমাকে বারংবার ঠেলে দেয় স্টিক্স নদীর পাথুরে তীরে
কিন্তু ঘাট পারানি নেই যে আভারনাসের মধ্য দিয়ে চলে যাব
অনন্ত মৃত্যুপুরীতে !

মৃত্যু এবং জীবনের মাঝামাঝি নিঃসীম প্রান্তরে
মহাজাগতিক ধূলোয় আচ্ছন্ন আত্মা পড়ে থাকে।

ধূমকেতু্

তাকে যখন ভালোবাসার কথা বললাম
সে জানালোঃ
স্বল্পায়ু ধূমকেতু্র গতিপথ দুইশত বছরের বেশী নয়
লক্ষ কিংবা কোটি সাইডেরিয়াল বছরেরও অনেক বেশী সময়কাল যাবৎ
কোনো কোনো ধূমকেতুর পরিভ্রমণ কাল হতে পারে
এখনো অনেক দীর্ঘ পরিভ্রমণকাল বিশিষ্ট ধূমকেতু অনাবিষ্কৃতই থেকে গেছে

মনোমুগ্ধকর বালিদ্বীপের সূর্যোদয়ের কথা যেই শোনালাম
টেলিস্কোপ থেকে চোখ সরিয়ে বললো
কহুতেক ধূমকেতু পরবর্তী এক কোটি সাইডেরিয়াল বছরের মধ্যে
আমাদের মিল্কিওয়েতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই

সূর্যাস্তের ক্ষীণ রশ্মিতে সূর্যের চারিদিক প্রচন্ড দূরত্বে
সৌরগোলকের বৃত্তাকার কক্ষপথে ধূমকেতুদের অবস্থান খুঁজে দেখে
অথচ জানে না
ভালোবাসার কণারা ক্রমে ক্রমে মিলিত শক্তিতে এক হয়ে
উপ বৃত্তাকার পথে নিজ হৃদয়ের অভ্যন্তরীন সৌরজগতে ঢুকে পড়ে
ওরট মেঘের রাজ্য থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসিত ধূমকেতু্র মতোন

সোমবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৩

কৃষ্ণ বিবর

কৃষ্ণ বিবরের মতো নিঃসরণহীন
পারিপার্শ্বিক সীমার মধ্যে সমস্ত কিছুই আকর্ষণ এবং
যৈবনিক প্রেম শোষণের ধারা অব্যাহত রেখে স্ফীত ও ভরসম্পন্ন
হৃদয় তোমার
মূর্খ সূত মাগধগণের অকারণ স্তুতিপাঠে অহংবোধে আচ্ছাদিত
আজকাল উন্মত স্ব-ভোজনই অস্ত্বিতের নির্দেশনা বিনাশ করছে
মনন ও বোধ

অদৃশ্যমান হৃদয় থেকে
শালকীর জল পার হয়ে
ভালোবাসার করুণ আর্তি প্রচন্ড গতিতে ছুঁতে চেয়েছিল কিন্তু
প্রেমের অজস্র অণু-পরমাণূ গুলো পাথুরে কঠিনতার আবরণে মোড়া
হৃদয়ের সংঘর্ষে নিঃসৃত হয়ে রঞ্জন রশ্মির মতো উপলেপ পদার্থেরা
চিরতরে হারিয়েছে কৃষ্ণ বিবরের অতল গহ্বরে

পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির সাথে পাল্লা দিয়ে তবু
অবসিত এই হৃদয় তোমার হৃদয়কে কেন্দ্র করে আবর্তিত;
যদিও এখন
তোমার হৃদয় কৃষ্ণ বিবরে পরিবর্তিত কিন্তু মহাবিশ্বের নিয়ম মেনে
তা এখনো পূর্ববৎ নিয়ন্ত্রিত তোমার হৃদয় দিয়ে
সমন্বিত ভরের মাধ্যাকর্ষণ ধ্রুব শক্তির প্রভাবে

শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৩

মুনিয়া'র পৃথিবী

সারাদিন মুনিয়া বাঁধা থাকে খাঁচার ভেতর

ডানার অসুখে ক্লান্ত পাখিরা যখন মেঘেদের সীমানা ছাড়িয়ে
আরো দূরে উড়ে যায়;প্রোষিতভর্তৃকার বিরহী দুপুরের আগুন রঙা রোদে
তখন সে দেখেঃবাউল বাতাসে মিশে যাচ্ছে শরীরের অস্থি-মজ্জা-মাংশ

পাঁজরে পাঁজরে ঘর্ষণের বিনাশী স্ফুলিঙ্গে দাউ দাউ জ্বলে বিপুলা পৃথিবী।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৩

কোয়াসার

কোয়াসারের উজ্জ্বলতায় ঢেকে থাকে কবির হৃদয়
বৃত্তাবদ্ধ ঘূর্ণিঘোর তাকে ছুঁতে পারে

নিদারুণ যন্ত্রণার ভেতর তাদের অভ্যন্তর সিক্ত
পাথুরে অন্ধকারের মধ্যে নীলাভ স্বেদাক্ততার অভিজ্ঞানে নির্জন জীবন
কেটে যায় মৈথুনরত অস্পৃশ্য বেদনার জন্যে
অস্তিত্বের নদীতীরে ভাঙ্গনের শব্দে মোহাবিষ্ট কবি
আকাশ গঙ্গার সীমাহীন নক্ষত্রের মতো
চুম্বনের ছাপচিত্র এঁকে দেয় দয়িতার ঠোঁটে
তমালের পাতায় প্রবাহমান জ্যোৎস্না আর চোখের মণিতে জমাকৃত মুক্তো
পেলে নিজ ভূবনের অলিন্দে অলিন্দে কঁচি ধানক্ষেতের আনন্দে নেঁচে ওঠে

চৈতালী খরায় জল নেই গুল্ম নেই তবু অবসিতে
জলীয় গুল্মের নিরন্তর সাঁতরে যাওয়া

সোমবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৩

শেষ কবিতা

শেষ কবিতা লেখার পর পূর্বের কবিতাটাকে নিতান্তই
হেলা-ফেলায় নিক্ষেপ করি ওয়েস্ট পেপার বাস্কেটের কোণে।

'ধূর!শালা আর নেই',বলে মাতাল যেমন ছুঁড়ে মারে
শূণ্য কাঁচের বোতল।

মানুষ বিষয়ক কথকতা

ফুল পাখি আর বসন্ত দিনের গান বিষয়ক অনেক কবিতা লেখা  হয়েছে,এখন_____

আশ্বাস-সংশয়ে পরিপূর্ণ মানুষের বর্বর আদিম শাপমুক্ত দিনযাপনের গ্লানি;
শরীরে শরীর ঘষে প্রেমিক জোড়ের একসঙ্গে শ্বাসটানা
স্বপ্নাবিষ্ট দুই চোখে উদ্ভাসিত ভালোবাসা ঢালে ক্লান্তিহীন অনন্ত অভ্যাসে
হাঁটুর ওপর জমে থাকা চাপ চাপ অন্ধকার কিংবা প্রবল সূর্য্যালোকিত দিন
পথের মোড়ের বোবা মেয়েটির ভিক্ষের থালায় করুণার বৃষ্টিপাত
অনাব্য সড়ক পথে বাসের হাতল ধরে ছুটে চলা বিপদ জনক যাত্রা
পুলিশের গুলিতে আহত যুবকের রক্তমাখা কাতরানি
নামহীন মানুষের সমুদ্দুরে ভেসে যাওয়ার কথকতা এবং
জাহাজের খোলে আবদ্ধ অথবা আধুনিক মানুষের ব্যর্থতার বোধ

সেইসব কবিতা লিখবে,এসো।

শুক্রবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৩

ছন্দমিল

শব্দহীন স্তব্দতার মধ্য দিয়ে
কলিযুগের অন্ধকারের মধ্য দিয়ে
প্রাতিভাসিক সত্যের মধ্য দিয়ে
সজল আশ্লেষে কোন রকম পূণ্যজলের স্পর্শ ছাড়াই দীক্ষিত
হলাম ছন্দমিলের নান্দনিক স্থাপত্য শিল্পের।

তুলসীমঞ্চ

সম্মুখগামী জোয়ার থেকে ভাসতে ভাসতে আসে ই-মেইল।
ওপেন করতে গিয়ে দেখিঃ An error has occured....

নাক্ষত্রিক পরিমন্ডলের বজ্র নিয়মের বেড়াজাল ভেঙ্গে বের হয়ে এল
বোহেমিয়ান গ্যালাক্সী গোষ্ঠী;যাযাবর কিছু ধূমকেতু তাদের অনুসরণ করে
মহাশূণ্যের প্রগাঢ় অন্ধকারে ডুবে গেল প্রারম্ভ ও সমাপ্তিবিহীন কিন্তু
কোন শব্দ,প্রতিধ্বনি আসেনি ঈথার বেয়ে,সংবাদপত্র ছাপেনি
কালো বর্ডারে শোকের কোন লিপি।

সম্মিলিত বেঁচে থাকার তুলসীমঞ্চ সৌর ধূলোয় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকে।

মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৩

অমোঘ মৃত্যু

স্তবের মুহূর্ত ফেটে বের হয়ে আসা পরিত্রাণহীন রাত্রিতে আমার বিষাদিত আত্মা
জাগতিক বোধের অতীত পার হয়ে স্খলিত প্রতিটি পদক্ষেপে প্রত্যয়হীন এগোতে থাকে
সূর্যালোকিত মৃত্যুর দিকে,অসহনীয় উত্তাপে জীবনের আনন্দ সঙ্গীত গাইতে গাইতে।

নিশ্চিত ভাবেই জানি,প্রকৃতির অমোঘ বিধানে মৃত্যু তবু আমি ভীত কেন?
মৃত্যু,এসো।আমাকে জড়িয়ে ধরো দয়িতার গাঢ় আলিঙ্গনে।

আহ্নতি


নাক্ষত্রিক পরিমন্ডলের ধাঁর ঘেষে প্রগাঢ় বিষাদময়তার দাঁড় টেনে
প্রত্যাশাবিহীন অজস্র বাতাসে ভেসে চলেছি না থেমে আছি বোঝা যাচ্ছিল না
অবিমৃশ্য হৃদয় ধ্বণিত অভিপ্রায় অনায়াসে সমকালের দেয়ালে ছায়া ফেলে
বেদনাময় গাছের পাতা প্রস্বেদনের মাধ্যমে শুষে নেয় বিষাক্ত প্রশ্বাস
পালাবার পথ খোলা নেই তবু কাঁটাজঞ্জালের স্তুপ পার হয়ে
ঋতুহীন নগর উৎসবে মেতে আছে;সৌরদূলোয় মাখানো বন্ধ্যা দিনের নিঃস্বন
চিতা থেকে দু'হাত বাড়িয়ে ডাকে,'এসো, ধ্বংশস্থিত জীবন আহ্নতি দিয়ে দাও।।'

ভিক্ষুক প্রভূ

কিছু ভিক্ষুক দূয়ারে জড়ো হয়ে ঈশ্বরের স্তব করে দয়া চাচ্ছে এবং
আমার পকেটে মাত্র একটি মুদ্রাই আছে।

যদি তা বিলিয়ে দিই যে কাউকে তবে
(দিতে তো একজনকে হবে!)
অন্য ভিক্ষুকেরা এবং আমি তার দাসে পরিণত হব।

রবিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৩

পরিযায়ী প্রেম


পরিযায়ী প্রেম উড়ে এসে বুভুক্ষু এ ঠোঁটে চুমু খেলে
নিঃসীম আকাশ থেকে নেমে আসা
তুচ্ছ বেদনা ঘনিয়ে ওঠা বুকের জমিন থেকে
আমার রক্তকণার কবিতারা ছেড়ে যায়
পান্ডুলিপি সাদা করে অভিমানিনী বধূর মতো
ধূলোতে লুটিয়ে থাকে।

যন্ত্রণার পাকে পাকে হৃদয় মন্থন করে
ফোঁটা ফোঁটা রক্তের মেঘেরা ভীড় করে আসে।



'দূর কোন দেশে নিয়ে যাব,' এ কথা বলেছিলাম
পৃথিবী তখন অপলক চেয়েছিল
মেঘের মতোন ঠান্ডা,পান্ডুর চাঁদের মতো
বিবর্ণ মুখের দিকে।

উপেক্ষাতে ভরা নক্ষত্রের দীর্ণ শ্বাসে
আকাশের কোণে জমে ওঠা পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ
শুধুই আগলে রাখি বুকে।

বিরহের প্রশান্তিতে এত সুখ!

সুর

একতারা দোতা সেতারা
এক দুই তিন তারের বন্ধনে
সুর বেরোয় হাজার।

শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৩

বামন সম্পাদক

প্রগাঢ় মনোযোগের সাথে
পাঠকের জন্যে লেখা আমার কবিতাগুলো সাময়িকির বামন সম্পাদক
বাতিল ঘোষণা করে বললেনঃ সূক্ষাতিসূক্ষ্ম অনুভূতিসম্পন্ন কবিতার চেয়ে
বিমূর্ত প্রকাশবাদী শিল্পচিন্তা নিয়ে কিন্তু ভেবে দেখতে পারেন।

শিল্পের নিজস্ব প্রয়োজনে কবিতার ক্রমঃবিবর্তনের সরেস ইতিহাস
বিষয়ক আলোচনায় না গিয়ে ফিরে আসার প্রাক্কালে
তিনি লেখাগুলো ফেরৎ না দিয়ে ব্রিফকেসে ভরলেন।

বাড়ি ফিরে অর্থ বুঝবেন বলে।

বুধবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৩

সুস্থিত বিশ্বাস

জলমগ্ন দাঁড় অবিরল টেনে নেয় নৌকার সুষম ভার
আশ্বাস-সংশয়ে পরিপূর্ণ জীর্ণ পাল প্রত্যাশাহীন বাতাসে ঢেউ তোলে
সুস্থিত বিশ্বাস নিয়ে ঘুমহীন ঘুমের ভেতর
মহাজাগতিক বোধের অতীত থেকে এসে দাঁড়ালাম জীবনের স্রোতে

রোদ তেতে ওঠা চারিদিকে সবুজ আগুনে জ্বলে বন
বল্কলে বিল্কলে ঘষা লেগে নগ্ন বৃক্ষের হৃদয় উড়ে যায় উদ্বেল আকাশে
নিশ্চিত ভাবেই জানিঃকালপুরুষের নির্দেশিত পথেই আশ্রয়
ডানায় অসুখ নিয়ে 'বউ কথা কও' পাখি খুঁজে ফিরছে গতরাতের ফেলে আসা ঘর
ঘরের নৈরাশ্য মিশে থাকে অস্ত্বিতের অস্থিতে,মেঘেরা গিরে রাখে তাদের আশ্রিত আকাশকে
জলভারানত মেঘেরা নাচবে বলে রাতের রমণে তৃপ্ত কোন কোন প্রোষিতভর্তৃকা
তার আঁচল বিছিয়ে রাখে
বৃষ্টিতে ভিজবে,এসো বলে ডাক দেয় লজ্জাতুর যৌবনকে

জীবন যে এতো বেশী ছন্দময়!