মনোয়ারা মণিঃ
তিন শতাব্দীতে প্রসূত রবীন্দ্রনাথ বাঙ্গালী সত্ত্বা ও বাংলা সাহিত্যে বিশেষতঃ কবিতার সৃষ্টিশীলতায় এক অসামান্য ঐতিহ্য।সময় ও পারিপার্শ্বিকতার সাথে সাথে রবীন্দ্রনাথের কাব্যিক দ্বন্দ্ব ও মূল চেতনা মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যায় নি বরঞ্চ বদলে গেছে পরিপ্রেক্ষিত। ঊনবিংশ শতাব্দীর রোমান্টিক ধারা,বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে আধুনিক কবিতার সূচনা ও শেষার্ধে উত্তরাধুনিকতার বীজ বপন করা হয়েছিল।একবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে সে চারাগাছ থেকে ক্রমে ক্রমে ডালপালা ছড়িয়ে যত বিকশিত হচ্ছে ততই রবীন্দ্রনাথের কাব্যিক শক্তি ও অসীমতার উপল্বধিজাত অভিজ্ঞান আমাদের চেতনাকে শাণিত করছে। আর তাই শেকড়াশ্রয়ী কবি মনোয়ারা মণি পশ্চিমি ঔপনিবেশিকতার হাত ধরে আগমনকারী আধুনিকতার অন্ধ অনুকরণকারী কিংবা মার্ক্সবাদী দ্বন্দ্বময় ইতিহাস অনুধাবনে অক্ষম নন।গত শতাব্দীর পঞ্চাশের য়্যুরোপ-ম্যারিকা'র অবক্ষয়ী আধুনিকতা তিনি মনে-প্রাণে মেনে না নিয়ে নুতন যুগ-চেতনায় আত্ম-আবিষ্কারের পথ খোঁজেন অতীতমুখীন ঐতিহ্যে তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'নিঃশব্দ পথিক ও স্বপ্ন' এ :
গুরুজী শ্রদ্ধাঞ্জলী
আমি জানি তুমি ভালো আছো
তোমার চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি
তোমাকে ভালোবাসি এ কথা বলতে লজ্জা নেই
ঈশ্বর তোমাকে আমার জন্যই পাঠিয়েছিলো
নানা কাজে ব্যস্ত থেকে আমাকে পাঠাতে
একটু দেরী করেছে----এ আর কি এমন দেরী
..............
(রবীন্দ্রনাথকে খোলা চিঠি)
গত শতাব্দীর শেষদিকে বার্লিনের প্রাচীর ভাঙ্গা,দুই পরাশক্তির ঠান্ডা স্নায়ুযুদ্ধে বিশ্ব পরিস্থিতিতে উন্মাদনা,পুঁজিবাদী আগ্রাসনে সু পরিকল্পিতভাবে গ্রাস করে গোটা বিশ্বকে।সবশেষে রাশিয়া ও পূর্ব য়্যুরোপে মার্ক্সবাদের ধ্বংশস্তুপের ওপর পূঁজিবাদী পতাকার দন্ড সুদৃঢ়ভাবে শেকড় প্রোথিত করে।মানবিকতার অপমৃত্যু,শূণ্যময়,লক্ষ্যহীন যাত্রায় বিদীর্ণ হৃদয়ে কবি বলে ওঠেনঃ
স্বাধীনতার ঠিক আগে তার জন্ম
এক দেবশিশু বেড়ে উঠে এক দুর্দান্ত বালক হয়ে
প্রকৃতির সাথে অদ্ভুত ভালবাসা তার
গরু ছাগল আর কবুতর---এ নিয়েই যেন জীবন।
বাবার ইচ্ছে ছেলে মস্তবড় সাহেব হবে,
ছেলে তার প্রেম বিকিয়ে দেয় প্রাণীদের মাঝে
নিয়তি হাসে,দ্বন্দ্ব বাড়ে আর বাড়তেই থাকে,
ঘর ছাড়া হয় সে,কথা বলে তার পালা পশু পক্ষীদের সাথে
এমনি করে একদিন মানুষকেও ভালোবেসে ফেলে
যারা ক্ষমতার আর আপনলোভে হিংস্র হয়ে ওঠে
...............................
...............................
(একজন পাগলের গল্প)
সোনম মনিঃ
শুধুমাত্র অভিনবত্বই উত্তরাধুনিকতা নয়।বহুরৈখিকতা বা বহুত্ববাদ এর প্রধান উপাদান।উদ্দেশ্যহীন জীবন স্থির পাথরের মতোন।এতে কোন পরিবর্তন নেই শুধুমাত্র শ্যাওলা জন্মানো ছাড়া।জীবনই জীবনের কাছে আসে পরিবর্তন বা নূতনত্বের কারণে;যা সমান্তরালভাবে দেখা যায় কবিতার ক্ষেত্রে।উত্তরাধুনিকতা স্বয়ং পরিবর্তনকে সনাক্ত করেন যথার্থভাবে।যিনি যতোবেশী সনাক্ত করতে পেরছেন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকতা,দেশজ ও প্রকৃতি,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিধি,স্থানান্তর ও অর্থবোধকতার প্রান্তিকতা;তিনি ততবেশী উত্তরাধুনিক।জ্ঞানতত্ত্ব থেকে নয়,আধুনিকতার বিরোধীতা করে নয়,জীবন-যাপনের স্বচ্ছতা ও অসীমতাকে লঙ্ঘন করেই উত্তরাধুনিকতার আগমন।কবি সোনম মনি তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'ভালোবাসার প্রবল প্রপাত' এ যেমন বলেনঃ
সূর্যের আলোয় পৃথিবী তখনো দৃশ্যমান,
পশ্চিম আকাশে রক্তরাগ
সাগরে ভাটা লেগেছে,এতো জল কোথায় হারালো?
মরা গাংগে এ যেন স্ফটিক জল!
.........................
.........................
(যেদিন ওরা চলে গেল)
আমরা পথ হাঁটছি এক সংশয়হীন সমাজ,রাষ্ট্রিক,পারিপার্শ্বিক কাঠামোর মধ্যে।আধুনিককালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তার করাল থাবা বিস্তার করেছিল ১৯৩৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৪৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর পর্য্যন্ত।অর্থহীন এ যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর ৮০ শতাংশ মানুষ।সামরিক অভিযান চলে তিন মহাদেশ এবং সাগর-মহাসাগরের বিশাল বিশাল এলাকা জুড়ে। দ্বিতীয় এ বিশ্বযুদ্ধে সামরিক-বে সামরিক মিলিয়ে মানুষ মারা যায় প্রায় পাঁচ কোটি।ধ্বংশ স্তুপে পরিণত হয় অসংখ্য শহর-বন্দর-গ্রাম-জনপদ।ক্ষত,অনাহার ও রোগে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ।হিরোশিমা-নাগাসাকি'র ধ্বংশস্তুপ থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষেরা আজও দুঃস্বপ্নের ঘোরে চেঁচিয়ে ওঠে।মদমত্ত ক্ষমতাসীনেরা আখ্যান ও দর্শনের দ্বারা এসব হত্যাকান্ডকে বৈধ করার প্রয়াসে লিপ্ত ছিল।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় বিভৎসতা,হত্যাযজ্ঞে পৃথিবীর মানুষের মানবিক মূল্যবোধ,চিন্তা-চেতনার জগৎকে ওলট-পালট করে তোলে। আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিক্ত পরিনাম,টেকনো সায়েন্সের ক্রম-বর্ধমান অগ্রগতি পাশ্চাত্যের সামাজিকতা এবং মানুষের চিন্তার জগৎকে আমূল নাড়িয়ে দেয়। মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেঃ কান্ট,হেগেল,মার্কসের মতোন দার্শনিকের জন্ম দেয়া জাতির মধ্যে কিভাবে অমানবিকতা,পাশবিক মনোবৃত্তি,ক্রোধ,নিষ্ঠুরতা কিভাবে লালন করে?টলস্টয়,চেখভের মতোন মানবতাবাদীর দেশে কিভাবে হাজার হাজার মানুষ হঠাৎ হারিয়ে গেল?লিংকনের আদর্শে গড়া মার্কিনীরা কেমন করে হিরোশিমা ও নাগাসাকির লক্ষ লক্ষ মানুষকে পরমাণু বোমায় পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারে? মানুষের আশা-আকাংখা ও চাহিদা পূরণে ব্যর্থ শেকড়হীন আধুনিকতাকে পদদলিত করে এগিয়ে চলছে উত্তরাধুনিকতাঃ
এ শতাব্দীতে হচ্ছে তত বেশী আর হয়তো আগে হয় নি।
জীবন যদিও স্থবির হতে চায়,তবু চলমান থাকে কি এক মায়ায়?
আমাদের এ কুহকী পৃথিবীতে কত যে মানুষের কষ্ট,কত যে সুখ,কত যে
গুণ
কত যে সাহসী বীর,কত যে কদর্যতা এক নজরেই মনের আয়নার মতোই
চোখের সামনে হাজির হয়।
এ যেন এক মহা সময়ের সর্বোচ্চ এক স্বর্ণ তোরণ খোলে বিজিগীষা।
(স্বর্ণযুগ)
তিন শতাব্দীতে প্রসূত রবীন্দ্রনাথ বাঙ্গালী সত্ত্বা ও বাংলা সাহিত্যে বিশেষতঃ কবিতার সৃষ্টিশীলতায় এক অসামান্য ঐতিহ্য।সময় ও পারিপার্শ্বিকতার সাথে সাথে রবীন্দ্রনাথের কাব্যিক দ্বন্দ্ব ও মূল চেতনা মহাকালের গর্ভে হারিয়ে যায় নি বরঞ্চ বদলে গেছে পরিপ্রেক্ষিত। ঊনবিংশ শতাব্দীর রোমান্টিক ধারা,বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে আধুনিক কবিতার সূচনা ও শেষার্ধে উত্তরাধুনিকতার বীজ বপন করা হয়েছিল।একবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে সে চারাগাছ থেকে ক্রমে ক্রমে ডালপালা ছড়িয়ে যত বিকশিত হচ্ছে ততই রবীন্দ্রনাথের কাব্যিক শক্তি ও অসীমতার উপল্বধিজাত অভিজ্ঞান আমাদের চেতনাকে শাণিত করছে। আর তাই শেকড়াশ্রয়ী কবি মনোয়ারা মণি পশ্চিমি ঔপনিবেশিকতার হাত ধরে আগমনকারী আধুনিকতার অন্ধ অনুকরণকারী কিংবা মার্ক্সবাদী দ্বন্দ্বময় ইতিহাস অনুধাবনে অক্ষম নন।গত শতাব্দীর পঞ্চাশের য়্যুরোপ-ম্যারিকা'র অবক্ষয়ী আধুনিকতা তিনি মনে-প্রাণে মেনে না নিয়ে নুতন যুগ-চেতনায় আত্ম-আবিষ্কারের পথ খোঁজেন অতীতমুখীন ঐতিহ্যে তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'নিঃশব্দ পথিক ও স্বপ্ন' এ :
গুরুজী শ্রদ্ধাঞ্জলী
আমি জানি তুমি ভালো আছো
তোমার চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি
তোমাকে ভালোবাসি এ কথা বলতে লজ্জা নেই
ঈশ্বর তোমাকে আমার জন্যই পাঠিয়েছিলো
নানা কাজে ব্যস্ত থেকে আমাকে পাঠাতে
একটু দেরী করেছে----এ আর কি এমন দেরী
..............
(রবীন্দ্রনাথকে খোলা চিঠি)
গত শতাব্দীর শেষদিকে বার্লিনের প্রাচীর ভাঙ্গা,দুই পরাশক্তির ঠান্ডা স্নায়ুযুদ্ধে বিশ্ব পরিস্থিতিতে উন্মাদনা,পুঁজিবাদী আগ্রাসনে সু পরিকল্পিতভাবে গ্রাস করে গোটা বিশ্বকে।সবশেষে রাশিয়া ও পূর্ব য়্যুরোপে মার্ক্সবাদের ধ্বংশস্তুপের ওপর পূঁজিবাদী পতাকার দন্ড সুদৃঢ়ভাবে শেকড় প্রোথিত করে।মানবিকতার অপমৃত্যু,শূণ্যময়,লক্ষ্যহীন যাত্রায় বিদীর্ণ হৃদয়ে কবি বলে ওঠেনঃ
স্বাধীনতার ঠিক আগে তার জন্ম
এক দেবশিশু বেড়ে উঠে এক দুর্দান্ত বালক হয়ে
প্রকৃতির সাথে অদ্ভুত ভালবাসা তার
গরু ছাগল আর কবুতর---এ নিয়েই যেন জীবন।
বাবার ইচ্ছে ছেলে মস্তবড় সাহেব হবে,
ছেলে তার প্রেম বিকিয়ে দেয় প্রাণীদের মাঝে
নিয়তি হাসে,দ্বন্দ্ব বাড়ে আর বাড়তেই থাকে,
ঘর ছাড়া হয় সে,কথা বলে তার পালা পশু পক্ষীদের সাথে
এমনি করে একদিন মানুষকেও ভালোবেসে ফেলে
যারা ক্ষমতার আর আপনলোভে হিংস্র হয়ে ওঠে
...............................
...............................
(একজন পাগলের গল্প)
সোনম মনিঃ
শুধুমাত্র অভিনবত্বই উত্তরাধুনিকতা নয়।বহুরৈখিকতা বা বহুত্ববাদ এর প্রধান উপাদান।উদ্দেশ্যহীন জীবন স্থির পাথরের মতোন।এতে কোন পরিবর্তন নেই শুধুমাত্র শ্যাওলা জন্মানো ছাড়া।জীবনই জীবনের কাছে আসে পরিবর্তন বা নূতনত্বের কারণে;যা সমান্তরালভাবে দেখা যায় কবিতার ক্ষেত্রে।উত্তরাধুনিকতা স্বয়ং পরিবর্তনকে সনাক্ত করেন যথার্থভাবে।যিনি যতোবেশী সনাক্ত করতে পেরছেন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকতা,দেশজ ও প্রকৃতি,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পরিধি,স্থানান্তর ও অর্থবোধকতার প্রান্তিকতা;তিনি ততবেশী উত্তরাধুনিক।জ্ঞানতত্ত্ব থেকে নয়,আধুনিকতার বিরোধীতা করে নয়,জীবন-যাপনের স্বচ্ছতা ও অসীমতাকে লঙ্ঘন করেই উত্তরাধুনিকতার আগমন।কবি সোনম মনি তাঁর কাব্যগ্রন্থ 'ভালোবাসার প্রবল প্রপাত' এ যেমন বলেনঃ
সূর্যের আলোয় পৃথিবী তখনো দৃশ্যমান,
পশ্চিম আকাশে রক্তরাগ
সাগরে ভাটা লেগেছে,এতো জল কোথায় হারালো?
মরা গাংগে এ যেন স্ফটিক জল!
.........................
.........................
(যেদিন ওরা চলে গেল)
আমরা পথ হাঁটছি এক সংশয়হীন সমাজ,রাষ্ট্রিক,পারিপার্শ্বিক কাঠামোর মধ্যে।আধুনিককালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তার করাল থাবা বিস্তার করেছিল ১৯৩৯ সালের ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৪৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর পর্য্যন্ত।অর্থহীন এ যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর ৮০ শতাংশ মানুষ।সামরিক অভিযান চলে তিন মহাদেশ এবং সাগর-মহাসাগরের বিশাল বিশাল এলাকা জুড়ে। দ্বিতীয় এ বিশ্বযুদ্ধে সামরিক-বে সামরিক মিলিয়ে মানুষ মারা যায় প্রায় পাঁচ কোটি।ধ্বংশ স্তুপে পরিণত হয় অসংখ্য শহর-বন্দর-গ্রাম-জনপদ।ক্ষত,অনাহার ও রোগে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ।হিরোশিমা-নাগাসাকি'র ধ্বংশস্তুপ থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষেরা আজও দুঃস্বপ্নের ঘোরে চেঁচিয়ে ওঠে।মদমত্ত ক্ষমতাসীনেরা আখ্যান ও দর্শনের দ্বারা এসব হত্যাকান্ডকে বৈধ করার প্রয়াসে লিপ্ত ছিল।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় বিভৎসতা,হত্যাযজ্ঞে পৃথিবীর মানুষের মানবিক মূল্যবোধ,চিন্তা-চেতনার জগৎকে ওলট-পালট করে তোলে। আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের তিক্ত পরিনাম,টেকনো সায়েন্সের ক্রম-বর্ধমান অগ্রগতি পাশ্চাত্যের সামাজিকতা এবং মানুষের চিন্তার জগৎকে আমূল নাড়িয়ে দেয়। মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেঃ কান্ট,হেগেল,মার্কসের মতোন দার্শনিকের জন্ম দেয়া জাতির মধ্যে কিভাবে অমানবিকতা,পাশবিক মনোবৃত্তি,ক্রোধ,নিষ্ঠুরতা কিভাবে লালন করে?টলস্টয়,চেখভের মতোন মানবতাবাদীর দেশে কিভাবে হাজার হাজার মানুষ হঠাৎ হারিয়ে গেল?লিংকনের আদর্শে গড়া মার্কিনীরা কেমন করে হিরোশিমা ও নাগাসাকির লক্ষ লক্ষ মানুষকে পরমাণু বোমায় পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারে? মানুষের আশা-আকাংখা ও চাহিদা পূরণে ব্যর্থ শেকড়হীন আধুনিকতাকে পদদলিত করে এগিয়ে চলছে উত্তরাধুনিকতাঃ
এ শতাব্দীতে হচ্ছে তত বেশী আর হয়তো আগে হয় নি।
জীবন যদিও স্থবির হতে চায়,তবু চলমান থাকে কি এক মায়ায়?
আমাদের এ কুহকী পৃথিবীতে কত যে মানুষের কষ্ট,কত যে সুখ,কত যে
গুণ
কত যে সাহসী বীর,কত যে কদর্যতা এক নজরেই মনের আয়নার মতোই
চোখের সামনে হাজির হয়।
এ যেন এক মহা সময়ের সর্বোচ্চ এক স্বর্ণ তোরণ খোলে বিজিগীষা।
(স্বর্ণযুগ)