এই তোমাদের সম্ভাবনার শহর?আকরিক সভ্যতা?নিহিত দুপুরের ধূলোওড়া পথ,
পৌরজীবনের শিষ্টতায় পায়ের তলায় মানচিত্র ক্রমাগত পাল্টে যায়,কোলাহলরত।
অসম্ভব বাণিজ্য চলছে।চা,মোদক,মৃগনাভী,জাল,নৌকা--এত বস্তুগত এখানে সবাই।
শিশুর তর্জনী তোমাদের দূরে ঠেলে দেয়,আরো দূরে বহু ব্যবহৃত সমুদ্রতীর থেকেও,--
এইসব সমুদ্রতীরের বালিয়াড়ি দ্বিবিধ বাঙ্ময়ে সমুজ্জ্বল ছিল সম্পন্ন মর্যাদাবোধে।
আলো আধঁরির বিমূর্ত প্রতিচ্ছায়ার দীর্ঘ প্ল্যাটফর্মে অবিরত যাত্রার নৈশকালীন ট্রেন
থামে।অর্ধেক জাগ্রত।হুইসেল থেকে ঝরে পড়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ,নির্বাণহীন সম্মতিতে।
প্রতিভাবিহীন অন্ধকারে তোমাদের নির্ভার জীবন পৃথিবীর সীমানা অবধি ছুঁড়ে ফেলে,
যা কিছু কলংক,অপমান--অনুপম শব্দের আঘাতে উঠে আসে পাতালপ্রোথিত শল্যপাতে।
নক্ষত্রহীন আকাশে অসম্পূর্ন পাঠ।অভ্রু'র কুচিতে লেখা কবিতার সারাৎসার;জেনে নিই
মদের গেলাস ভরে উপচে উঠছে নৃত্যাপর অপ্সরী,গণিকালয় এবং দ্রুতগামী শীত---
আগুন কী দ্রুত উড়ে যায় মৌমাছির চেয়ে।
তোমাদের লৌকিক শহরে আত্মজার প্রতি উৎপীড়ন অর্থাৎ আদিমতার দিকে যাত্রা এবং
যাত্রীবদলের জাহাজগুলোর সংকেতধ্বনি মুদ্রিত হচ্ছে কাগজের সান্ধ্য সংস্করণে।
সম সাময়িক রসায়ন ঘিরে রাখে তোমাদের প্রত্যাহিক জীবনযাপন।