Powered By Blogger

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

জোনাক পোকা

আমাদের অবদমিত ইচ্ছেরা সমন্বিত জ্বলে ওঠে,
কোনো কোনো রাতে।
উচ্চারণ সাধ্য নয়-----এমন কতক
স্পষ্টময় ভাবনার অন্তরালে জোনাক পোকারা
অন্ধকার ঘিরে
বিভৎস চিৎকারে সমর্পিত।

আতংকিত লালরঙের বারান্দা থেকে ফিরে আসি
অরব ভালোবাসার প্রতিশ্রুত ঋণে।

কড়ি

নৌকা,জাল,শস্যবীজ,ধাতুর আকর,---
আর কী কী চাই তোমাদের
করপুট ছেঁকে বিফলতা ঝেড়ে ফেলে
কতটুকু সফলতা পেলে তুমি থেমে যাবে

দীর্ঘ অসুখী প্রচ্ছায়া
মস্তিষ্কে কেবল পাক খায়----
জল,মেঘ,রৌদ্র,শিয়রে জ্যোৎস্নাপ্রদীপ

সহজতর সিন্দুক ভরে ওঠে

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নিয়ম-বিরুদ্ধ আর্তনাদ

বসন্ত প্রহর সমাগত।কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায়
বসে করপুট পেতে ধরি।ফুল ঝরে,
লাল লাল ফুল।

ফুল সমেত বাগানে একা একা ঘুরি।
মালি নেই।অনেক দূরের পথ পার
হয়ে এসেছি।দেখেছিঃসহজাত জলতৃষ্ণায় বেতস পাতাগুলো
কেমন এলিয়ে পড়ে।আজকাল প্রায়শঃই আমি
জল মনে করে মরীচিকা ধরতে এগিয়ে যাই।
এ-ও জানি জলাশয়গুলো ঘিরে
আবাসন প্রকল্পের জমজমাট বাণিজ্য।

জীবাশ্মের অন্ধকারের ভেতর মৃত্যুপরবশ
সভ্যতার নিয়ম-বিরুদ্ধ আর্তনাদ।

কালি মুর্তি

কালি মন্দিরের চাতালে প্রোথিত এক যুপকাষ্ঠ---
রক্তাক্ত খড়গ,পাশে।
কাটামুন্ড এদিকে,ওদিকে ধড়।

পেছনের দিকে ন্যাংটো কালি।গলায় নরমুন্ডের মালা,
লকলকে জিহ্বা।

মানুষের মৌলিকত্ব

ঘরে ঘরে আগুন জ্বলছে।
বাতাসে আমরা তার তাপ টের পাই।
নির্মম নিষেধে বাগানের ফুল হাতে নিই,
গোলাপের রঙ একেবারেই ভিন্ন।
সারাদিন শীতল,সংহত সর্বনাশ।মানুষের মৌলিকত্ব আজ
ইতিহাসের স্বয়ংসম্পূর্ণ চিত্রে নেই।পরিদৃশ্যমান পরাবাস্তবতা,---
স্বতন্ত্র চিত্রের অবগাঢ় প্রলেপন।হয়তো বা
অন্যকোন ইতিহাস।

'পূরাণের পাতায় যেটুকু লেখা আছে'
এর চেয়ে বেশী জানতে চেও না।

মহাপাতকের স্থান শেষপর্য্যন্ত নরকে নির্ধারীত।

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নির্মাণ কৌশল

আত্মমগ্ন আকাশ;যেখানে নক্ষত্রের সাজানো সংসার
কী গভীর মমতায় চেয়ে থাকে পৃথিবীর দিকে
মাঙ্গলিক বৃষ ও কলস ছুঁয়ে প্রকৃতির সন্তান আমরা
ঈশ্বরের প্রতিস্পর্ধী চোখে
অন্তরালের প্রয়োজনীয়তার কথা বলি

সকালের কাঁটাভাঙা রোদ লেগে আছে হেলে পড়া তালগাছে
প্রশ্নাতীত সহানুভূতিশীল যথার্থতায়

চিরায়ত দৃশ্য ও উজ্জ্বীবনের

আমাদের মাটির বাড়ির কথা মনে আছে
গোবর নিকানো উঠোনের মাঝখানে ডালিম গাছের দীপ্তি
রোয়াকের পাশে সম্মিলিত বেঁচে থাকার তুলসীমঞ্চ---
প্রলম্বিত অনির্ভর

সেই মাটির বাড়িটি আজ আর নেই
পরিব্যপ্ত জলের শাষণে ধ্বসে গেছে
অযত্নপ্রয়াসে ব্যর্থ আমাদের নির্মাণ কৌশল

নিয়তি

অহংকার এবং দাম্ভিকতা
আমাদের কোন স্যুয়ারেজ সভ্যতায় নিয়ে যাচ্ছে ভেবেছ,কখনো
নর্দমা ও শস্যাগার যখন অসন্তোষের জলে ডুবে যায়
চাষীদের আর্তনাদ,অভিশাপ
গবাদি পশুর শবে ভরে ওঠে
তোমাদের বাড়ির আঙিনা----তখন তোমরা
নিশ্চিত আশ্রয়ে রামায়ণ চরিতের মাহাত্ন্য,ধর্মের সারকথা বিলি কর
আমরা কী নির্বিকার বালিবধের বৈধতা
নিয়ে কোন আস্ফালন করি না;শতেক প্রতিশ্রুতি আর
কথার ফুলঝুরিতে বিমোহিত হই

এ রকম নিয়তিই মেনে নিয়েছি,আমরা

চড়ুইপাখি

কালি সন্ধ্যায় কি দেখ
মেঘ না আকাশ
চাঁদের শরীরে লেগে আছে নিশাচর বাদুড়ের ডানা
আকাশে উড়ছে----সেইসব দিন গত
অতলান্ত পর্বতের চাপালিশ বনে স্মিত হাসির করুণা----
শূণ্যতার ভেতর দাম্ভিক প্রেম গমগম করে বেজে ওঠে
কত কষ্ট হয়---কম দেখা হয় নি,তোমাকে,---
পোষা কাকাতুয়া,দোয়েলের খাঁচার সামনে সারাদিন পর্যটন
শুধু শঙ্খচিল ফিরে গেছে

আমাদের নিকটতম চড়ুইপাখি ঠিক তেমনই আছে

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

পাথরভাঙার গান

স্বার্থপরতার মাত্রা পূর্ণ হয়ে গেলে আকর সভ্যতা
সেতুর আড়াল দিয়ে প্রবাসী নৌকায় পাড়ি দেয়
নাগেশ্বর গাছের ছায়ায় পড়ে থাকে বসন্তকালীন রঙিন পোষাক
সমস্বরে শুধু শোনা যায় পাথরভাঙার গান

কোথা থেকে আসে বেদনাবিধুর গান
কোথাও না কোথাও লুকিয়ে আছে পশুআত্মা
ফুল দেখলেই ঝাপিয়ে পড়বে

এইখানে নাগেশ্বর গাছের ছায়ায় তুমি গাও
জীবনের,জন্মের,ফুলের.....
কান পেতে শুনুক হিজড়া,গৃহী,বধ্যভূমির ঘাতক

সহজতর নির্মাণ

ইন্দ্রিয়পরবশ জেনেছিলাম,---
সমূহ সর্বনাশের আগেঃমৃত্যুর কারণ।
নৌকা ও জালের রহস্যের সমাধান
স্মৃতি-বিস্মৃতির বেড়াজালে ক্রমবর্ধমান বেড়ে ওঠা
যুগপৎ হতাশা,গভীর তৃপ্তিবোধ।

ছেনি-হাতুড়ির শব্দে সহজতর নির্মাণ

উনুন

মশলা ভাঙার গান থেমে গেলে
মা আঁচলে হাত মুছে দেখে নেন
দুধের উষ্ণতা।

ঘরে ঘরে হেঁশেলের উনুন আগুনে ভরে ওঠে
আমার বোনের রাঙা ঠোঁট থেকে গলে পড়ে
পানের পীতাভ রস।

আর ওদিকে হাঁড়িতে
জৈব রসায়নে সেদ্ধ হতে থাকে
চাল,মাস কলায়ের ডাল,রক্ত,ঘাম......

উপবাসী স্নান

পরিত্যক্ত ধাতু খনি,সেতুহীন নদী,
স্বচ্ছ জলে ডুবে আছে আধখানা কংকাল,---
নিজস্ব পরিচয়ের ব্যাপ্তী পার হয়ে এই ছিল
আজকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞান।

সেদিন বৃষ্টির রাতে কুমারী মেঘেরা
সারারাত নেচেছিল উঠোনে,টিনের চালে,গাছের ওপর।
তাদের পায়ের চাপে ভেঙে পড়েছিল
কীটের গুঞ্জনসহ কিছু,ডাল,তাদের সবুজ পাতা
বেদনা-আহত হাসি হেসে বলেছিল,
'খুঁজে দেখো,আমাদের ছিন্নত্বক লেগে আছে ফল ও ছায়ায়।'

শিমুল তুলোর মতো পরিণতিহীন আমাদের গন্তব্য।বাড়ির পথে
নিরপেক্ষ বাদুড়ের ডানার ঝাপটানিতে মনে পড়ে
কবন্ধ ধানের ক্ষেত,ভাঙাভিটা,ঘাটে ঘাটে শোকাকূল রমণীর উপবাসী স্নান....


বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

জটিল রসায়ন

আমরা বসেছিলাম মুখোমুখি রেলিঙ্ ঘেঁষা বারান্দার কোণে
বাতাসের অমিত বিক্রমে বারংবার স্থানচ্যুত কানের পাশের চুল,
হলুদ ওড়না,---
পরিপক্ক জোড়া ডালিমের সদম্ভ প্রকাশে

ভেতরে ভেতরে তৈরী হচ্ছিল জটিল এক রসায়ন।

নির্বাচন

ঃনাম
ঃবাদাইম্যা মিশু
উদ্যত মুষল,চোখে পাথুরে কঠিণ দৃষ্টি,---
ইতঃস্তত ঢোক গিলে ব্যালট ও সীল দু'হাতে বাড়িয়ে ধরে নির্বাচন কর্মকর্তা

তোমাদের নির্বাচনে ব্যালটের চেয়ে এত বেশী প্রয়োজন,পেশীশক্তি!

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আকরিক সভ্যতা

এই তোমাদের সম্ভাবনার শহর?আকরিক সভ্যতা?নিহিত দুপুরের ধূলোওড়া পথ,
পৌরজীবনের শিষ্টতায় পায়ের তলায় মানচিত্র ক্রমাগত পাল্টে যায়,কোলাহলরত।
অসম্ভব বাণিজ্য চলছে।চা,মোদক,মৃগনাভী,জাল,নৌকা--এত বস্তুগত এখানে সবাই।
শিশুর তর্জনী তোমাদের দূরে ঠেলে দেয়,আরো দূরে বহু ব্যবহৃত সমুদ্রতীর থেকেও,--
এইসব সমুদ্রতীরের বালিয়াড়ি দ্বিবিধ বাঙ্ময়ে সমুজ্জ্বল ছিল সম্পন্ন মর্যাদাবোধে।


আলো আধঁরির বিমূর্ত প্রতিচ্ছায়ার দীর্ঘ প্ল্যাটফর্মে অবিরত যাত্রার নৈশকালীন ট্রেন
থামে।অর্ধেক জাগ্রত।হুইসেল থেকে ঝরে পড়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ,নির্বাণহীন সম্মতিতে।
প্রতিভাবিহীন অন্ধকারে তোমাদের নির্ভার জীবন পৃথিবীর সীমানা অবধি ছুঁড়ে ফেলে,
যা কিছু কলংক,অপমান--অনুপম শব্দের আঘাতে উঠে আসে পাতালপ্রোথিত শল্যপাতে।

নক্ষত্রহীন আকাশে অসম্পূর্ন পাঠ।অভ্রু'র কুচিতে লেখা কবিতার সারাৎসার;জেনে নিই
মদের গেলাস ভরে উপচে উঠছে নৃত্যাপর অপ্সরী,গণিকালয় এবং দ্রুতগামী শীত---
আগুন কী দ্রুত উড়ে যায় মৌমাছির চেয়ে।

তোমাদের লৌকিক শহরে আত্মজার প্রতি উৎপীড়ন অর্থাৎ আদিমতার দিকে যাত্রা এবং
যাত্রীবদলের জাহাজগুলোর সংকেতধ্বনি মুদ্রিত হচ্ছে কাগজের সান্ধ্য সংস্করণে।

সম সাময়িক রসায়ন ঘিরে রাখে তোমাদের প্রত্যাহিক জীবনযাপন।

কালো অরণ্যের ভেতর আশ্রয়

দাম্ভিকতাময় বিবেচনা ছিল,ছিল দ্বিধার প্রবল টান
মগ্ন অবকাশে প্রণত চোখের ঢালু কোণ বেয়ে গড়িয়ে নামত অভিমান
আর ভেতরে ভেতরে তৈরী হচ্ছিল অপরিসীম বোধের শূণ্যময় পৃথিবী

আমার চুলের জট বেড়ে চলে অপরিকল্পিত হারে
মুক্তির প্রয়াসে আকাশের দিকে চোখ তুলি---
 এ আকাশ শৈশবের নয়
এ আকাশ কৈশোরের নয়
আকাশে আলোর রেখা কেঁপে ওঠে
অবশেষে মধ্যরাতে নগ্ন পায়ে পথে নেমে আসি
নুড়ির আঘাতে দীর্ঘ নখ ভেঙে যায়
পায়ের তলায় পাল্টে যেতে থাকে মানচিত্র

উন্মুখর প্রত্যাশায় পথ হাঁটি কিন্তু
পথ চেঁপে ধরে বুক এবং গলা
এক পথের আড়ালে আর এক পথ
তারপর আর এক বাঁক

অনন্তকালের একক যাত্রায়
শেষাবধি কালো অরণ্যের ভেতর আশ্রয়

স্বপ্নময় প্রতীক্ষা

যুবক চোখের জল চেয়েছিল
যুবতীর দু'চোখে চৈত্রের দাবদাহ

দ্বাদশীর পূর্ণিমায় স্বপ্ন ছিল
পুকুরের কাছাকাছি অলৌকিক খেলাঘর বাঁধা হবে

যুবতীর চোখে আজো আষাঢ়ের ঢল নেই
তিথি,নক্ষত্র,জোছনা তার কাছে অর্থহীন

তবুও যুবক স্বপ্নময় পথের সীমান্তে প্রতীক্ষায় থাকে

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ক্রুসবিদ্ধ যীশু

শ্বেত সমারোহে নিজের পাশাপাশি হেঁটে চলি
পাহাড়ের ঢালে আমাদের এ শহরে
ঈশ্বরের অস্তিত্বের সামগান,তার স্বরলিপি,---
বেদনার চেয়ে মহার্ঘ্য বস্তু

আমাদের বুকের ওপর দিয়ে চলে যায় রেলগাড়ি
আমরা কী নির্বিকার!
পৌরাণিক বাইবেলের ইয়াকোবের পুত্র এবং শেখেমের মতো
যন্ত্রণায় ছটফট করি

নানান ধাতুর সংমিশ্রণে যোদ্ধা,মূল্যবান লোহিত পাথর
হারিয়ে যাওয়া কুটিরশিল্পের সাথে
ঈশ্বরের নামাংকিত জাহাজগুলো বন্দরে ভেড়ে পালবিহীন,বিভ্রান্ত

আমার দাদুকে জোর করে শোয়ানো হয়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত কবরখানায়
আমার পিতাকে পাহাড়ের চূড়া থেকে নিক্ষেপ করেছে ঈশ্বরানুগত দাস
এবং আমাকেও আজ,কাল অথবা পরশু দূর সমুদ্রে ভাসিয়ে দেবে
রক্তাভ আদেশে

প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকি বিবর্ণ ঘাসের মতো
আমি ঈশ্বরের ত্রোস্ত বাদ দিয়ে পড়ে নিই
নির্ভুল সমাধি প্রস্তরের ভাষা
(মৃতদের জন্যে প্রগাঢ় প্রার্থনা কিংবা বিলাপের প্রয়োজন নেই)
আমি সাঁকো অতিক্রমকারী সেই নাগরিকঃ
যে কিনা শহর রক্ষাকারী বাঁধ ভেঙে দেওয়ার বিপক্ষে;আমার শিশু
শিশুর মা এবং আমার প্রাক্তন প্রেমিকার সুরক্ষার জন্যে

শহরের মানচিত্রের আড়ালে ধর্ম ও বিশ্বাসকে ওরা পেরেকবিদ্ধ করেছে
উন্মুল জ্যোৎস্নার এই রাতে কবরের গায়ে হেলেপড়া গাছগুলো মনে হয়
ক্রুসবিদ্ধ যীশু

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ঐহিকতা

এখন গোধূলিসূর্য।
পাহাড় গড়িয়ে অন্ধকার নামে সীমান্ত শহরে,
পেছনে আসাম।

মানুষেরা যে যার নিজের বৃত্তে বন্দী।মেঘের আড়ালে চাঁদ এবং
দিগন্তরেখার দিকে নদী।তীব্রভাবে বেঁচে ওঠার প্রয়াসে
আদিবাসী রমণীর বুকের কাঁচুলি শক্ত করে চেঁপে ধরি,
পান করি তার চিবুকের ধারা বেয়ে নেমে আসা
মহুয়া ফুলের রস।

ঘুরে ঘুরে সারারাত যৌন দ্রাঘিমার স্তরে
ঘনিষ্ঠ নিঃশ্বাস;কুয়াশায় টিলার উপরে
নিশাচর পাখিদের ঐহিকতা।আস্থাহীন উল্লস্ফন।

সরাসরি ঢেউয়ের আঘাতে কাঁপছে
আমাদের শরীর কাঁপছে।

অপার কবিতা

খঞ্জনী বাজিয়ে কারা গান গায়?

নদীর ওপার থেকে সাবধানে উঠে এসো
স্বচ্ছ জলে ছায়া ফেলে--তোমার বিনুনী,
হলুদ রেশমে গাঁথা ওড়না,কামিজ
এপারে শ্মশান।কুরুক্ষেত্র।

সিপাহীর হাঁক থেমে গেল, অবহারে,----
দিনশেষে ব্যর্থ আমাদের কষ্টের মিলনকালে
স্বস্ত্যয়ন সেরে নাও---
কখন মাড়িয়ে যাবে অগ্নিকুন্ড,
আমার-ই চিতা।

ক্র্মাগত সূর্যহীনতায় আমাদের যৈবনিক চুম্বন ও ক্ষুধা
অপরাহ্নের ফুলের মতো ঝরে যায়,দ্রুত।
ছায়া নিবিড় স্বর্ণচাঁপার ডালে শুয়ে থাকা পাখি
পৌষের কালিমালিপ্ত কুয়াশায় সাম্য,প্রতিসাম্যতার বিজ্ঞান
গ্রাস করে বেড়ে ওঠে।

সব সাধ ছুঁড়ে ফেলে এতকাল যা শিখেছ;
লিখে ফেল,---
প্রান্তরের অপার কবিতা।





বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

প্রস্তুত জীবন

কতবার উড়ে গেছি শীত পাখিদের সাথে
পাহাড়,সমুদ্র,নদী,বনভূমি পার হয়ে
মুখোমুখি যন্ত্রণার,নানাবিধ ধ্বনি ব্যঞ্জনায়
মৃত্যুর সূচকে----

বিকীর্ণ সৈকতে শোকগ্রস্ত প্রেমিকের বিষন্ন মিছিল
পামগাছের সারির নীচে স্পষ্টতঃ বিধবা রমণীরা খুঁজছে শুক্রাণু;
আইন সম্মত রাতে তাদের সুন্দর শাড়ীগুলো বাতাসে কেমন লেপ্টে থাকে
রক্তের সুবাসে উত্তেজিত শ্বাপদেরা ঘিরে রাখে আশ্চর্য্য শরীর

বিশুদ্ধ ধ্বনির মতো নির্জন সমাধিক্ষেত্রে যারা শুয়ে আছে
ভেজা বাতাসের আর্দ্রতায় ফুলে ফেঁপে ওঠে করুণ বিলাপ
কিংবা বৃষ্টির মতোন
মৃত্যুর বিধ্বংশী মুখ তাদের খুঁজছে
সম্মার্জনীর মধ্যেই মৃত্যুর হিমশিতল বীজ যেমন নিহিত

একা একা এতসব দেখে
অন্ধকার বুক খুলে বের হয় আসি
জীবন প্রস্তুত---এইখানে,মধ্যরাতে

সামঞ্জস্যহীন দ্বিপদী

কিছু বুঝে ওঠার আগেই রৌদ্র মেঘের আড়ালে এবং
সমুদ্র যেখানে শেষ তার থেকে দূরে,আরও দূরে

সংহত সর্বনাশের মধ্যে লাঞ্জিত প্রেমিক,পরিত্যক্ত
ঘরের বাইরে

বটপত্রলীন এ জীবন অপাবৃতে টলমল
শীতল ভাটার টানে চুপসে যাওয়া বিছানায়

জৈবফুল পুড়ছে নিঃশ্বাসে
ঘামে-অবসাদে মোড়া যৌন প্রহারের অপচিহ্ন

বিশল্যার খাঁজকাটা পাতার কিনারা ঘেঁষে বসে আছে মাংসপাখি
গূঢ় ধৈর্য্যে শিকারী প্রস্তুত

আজ ভোজ হবে
পাখি মাংস

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অপরিস্রুত জীবন

রাত্রির আকাশ জুড়ে নীল নক্ষত্রেরা কেবলই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে,
এগিয়ে চলছে ছন্দময় বিশৃঙ্খলা।স্পর্শময় অন্তরালে দোলায়মান নিশ্চিত বাহু
টেনে আনবে প্রত্যাশা---এবং আজ রাতেই হয়তো আমি লিখে যাবো অন্তিম কবিতা।

আমার বয়স কত হল?'তুই কি চিরকালই এরকম ছোট্ট হয়ে থাকবি'--মা বলে।
মায়েরা প্রাচীন অভিজ্ঞানে অন্ধকার সিঁড়ি ঘরের মাকড়সার জাল,ইঁদুরের বিষ্ঠা
নিষ্কম্পন ঝেড়ে ফেলে।অনতিক্রমনীয় দূরত্বে আমাদের মনোনিবেশ উৎসর্গ।
অযত্ন প্রয়াসে আমাদের নির্মাণ কৌশল,আমাদের গৃহসজ্জা বিন্যাসের ব্যাপকতা
শূণ্যপ্রহরের বিজনতায় উৎসর্গীকৃত;যা অনবহিত অরণ্যের অন্তরালে পরিত্যক্ত।

গভীর সত্যের মুখোমুখি আমাদের অপরিস্রুত জীবন আত্যন্তিক পরিম্লানে অসম্পূর্ণ।

মৃত্যুর কবিতা

তোমাদের গান,কবিতা
সবই মৃত্যুর

আসে ঘূর্ণিঝড়,খরা,মৃত্যুর দেবতা
পূরোনো অগ্নির রথে চেঁপে
দ্বিধাহীন হাতে তুলে নিই বিষের পেয়ালা

কানায় কানায় উপচানো রক্তের সফেদ ফেনা

২.
রাত্রির গভীরে শ্বাসরোধী ভাবনায়
কাল থেকে কালান্তরে
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে
অসম্ভব বিপরীত দু'টি দৃশ্য

মৃত্যু এবং রুপান্তর

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

জলের শব

ধূলো ও সন্ধ্যার মেঘে আমাকে নিগূঢ় ডেকেছিলে
ইনানী বীচের শূণ্য দৃষ্টি,আমাদের বোঝাপড়ার ভেতর ছিল সমুদ্র গর্জন
আদিম বিশ্বাসে অপরিচয়ের সব চিহ্ন মুছে আমরা জেনেছিলাম
নগ্ন ঠোঁটের চুম্বনস্বাদ

মিশে গেছে সেই দাগ
সমর্পিত চাঁদ জানে
এত উপকরণ,শবাচ্ছাদন,---
ছিঁড়ে ফেলে জননীর নাভীমূল

অলৌকিক সমুদ্রে জলের শব ভাসে

জ্যামিতিক পরিমাপ

জন্মগ্রন্থির জরাজটিল নাড়ী কেটে ফেলে নিপূণ সার্জন।নিষ্পাপ ভ্রূণের শিশুগণ
তোমাদের অভিবাদন দ্বিতীয় নির্মাণের পৃথিবীতে।আলো এবং ছায়ার অন্তরালের মধ্য
জেনে নাও এখানে সবাই জুতো পায়ে প্রস্তুত।বস্তুতঃ চারিদিকে এতো মানুষ পোড়ার গন্ধ,
চোখ ঢেকে যায় কালো ভস্মে।মানবিকতার চেয়ে রাজনীতি এখানে অনেক বেশী লোভনীয়।
নগর ধ্বংসের পরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে বারুদ,সার্জিক্যাল টেপ এবং ব্যান্ডেজের কারখানা।

জ্যামিতির মূল লক্ষ্য ছিল নির্মাণের প্রসারতা,প্রকরণ এবং শৈলী---সমূহ শব্দের মতো
নারীঘটিত শূণ্যতা বিবর্তিত গুহাপ্রান্তে উপবৃত্তাকার পথে ঘূর্ণায়মান।যৌনতা এবং যুদ্ধ,---
বর্ণিল নির্দেশে আবর্তিত।কত সহজ বিপন্ন বিষ্ময়গুলোর অবসান---জ্যামিতিক পরিমাপে
সকলেই চায় স্রোতের অনুকূলতা।

অব্যবহৃত নগরে কুর্চিফুল গাছে যেদিন প্রথম ফুটেছিল;সমস্ত বিকেল জুড়ে
দীর্ঘ পথের মালিন্যে জেনে নাও মানবসভ্যতা হামাগুড়ি দিতে শেখে নি;যে কি না
প্রাপ্তবয়স্ক মাঝরাত্তিরে গ্রাম-গণিকার ভাঙা ভিটায় ঘুমিয়ে থাকে।

কাটা কম্পাসের ভুল পরিমাপে অনেক নির্মাণ।পরিবর্তিত রেখার অপরুপ কারুকাজ।
সিঁড়ির তলায় অন্ধকার মাকড়সার জালবুনন---বাস্তবিক পক্ষে এটা কি নির্মাণ

না-কি জ্যামিতিক ঘেরাটোপ?


ইতিহাসের অনাব্য পথ

সভ্যতার মানদন্ডে শব্দ ও ভণিতা মেপে বালিকা নিবিড় বটগাছে ঝুলেছিল

শুধু মনে আছে আবছা নদীর তীরে বসে জলের স্রোতের সাথে
ইতিহাস প্রবাহের ধ্বনি শুনেছিল আর
অভ্যস্ত নিপূণ পায়ে হেঁটে চলে গেল ইতিহাসের অনাব্য পথে

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

প্রতিহত ভালোবাসা

পাহাড়ী স্রোতের সহজিয়া নদীর ওপার থেকে দৃশ্যজগতের গান বেঁধেছিল অন্ধ কবি
শোনে নি বালিকা।এই পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখছে পাতাহীন ডুমুরের তলে অস্থি,করোটি,কংকাল,--
ধ্বনিপ্রতিধ্বনিময় সূর্যাস্ত বেলায়।নিষ্প্রভ চোখের মতো রৌদ্র শুয়ে আছে বালুচরে।
ভিন্ন জলের উচ্ছ্বাসে ডুবে গেল অবলম্বহীন জাল;প্রয়োজনে যা এনেছে---নদীর কিনারে
কেননা প্রবাসী নৌকাগুলো এতো বেশী তথাগত দুঃখ এনেছিল,---ভূর্জপত্রে,প্যাপিরাসে
আরো কিছু লেখা বাকী,সমাগত নৌকা এবং ভাঙা অবসাদ---চলে গেছে নদীর জোয়ারে।

সূর্যাস্তের পানে অস্ত্বিতের গান এখোনো গাইছে, কবি।তবে কি একই দিকে সব ভালোবাসা
প্রতিহত হয়ে ফিরে আসে;বালিকার জ্যোৎস্নাময় সিঁথিতে।সিঁদুর রঙে।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আশ্রয়

ধ্রুবতারা আকাশের কোনদিকে?অন্ধকার বেয়ে খালপাড়ে উঠে এসেছ?সন্যাস চোখে
শান্ত বিষন্নতা।বাতাস তাড়িত নাক্ষত্রিক রাতে মৌন ছায়াপথ,স্থির বিষুব শূণ্যতা।
শেষ কবে আমাকে আশ্রয় করেছিলে?আজ রাতে আবিষ্কার করি,---
নৌকা,জাল,বৃষ,তামাক ও নুন----বড় বেশী বস্তুগত।

দিনগুলো ছিল দিবাস্বপ্নে ভরা।কৌম রাত হাঁটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।
একদিন যারা মহুয়ার নেশায় মাতাল ছিল;তাদের ফেরার পথে কে কাটা পুঁতেছে?
যারা বালি খুঁড়ে খুঁড়ে জল তুলেছিল---তাদের দু'চোখে আজ চৈত্রের দাবদাহ।
সুবর্ণরেখার তীরে ভিখেরীর চাপে পিষ্ট আর্য নগরীর কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলে?

সূর্য রমণের চিহ্ন এঁকে
আমি প্রত্যয়ের মতো ফিরে এসেছি,আমাকে
আদি আশ্রয়ের নিশ্চয়তা দাও।

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সমালোচক

শেষ কবিতাটি প্রেসে চলে গেছে
অনাবাদী নিউজ প্রিন্টের গায়ে আঁকা হয়ে ছড়িয়ে পড়বে কাল
কেউ হয়তো পড়বে,
কেউ পড়বে না
কিন্তু সমালোচকের দীর্ঘ নখে ঠিকই বিদীর্ণ হবে
কবিতার শরীর,হৃদয়

তাতে কবির কি কিছু যায় আসে

শান্তি

যখন আমার চারপাশে মানুষেরা নিরস্ত্র থাকবে এবং
আমার উদ্ধত হাতে অত্যাধুনিক রিভলভার...
কেবল এভাবে,এভাবেই শান্তি বজায় থাকবে বলে আমার বিশ্বাস

চুপ,একদম চুপ
আমার মুখের 'পর কেউ কোন কথা বলবে না

শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

শ্বাপদের শ্বাস

নিঃশ্বাসের দুরত্ব থেকেও দূরে কখন হারিয়ে যায় মগ্ন দেবী
পূজোর নৈবেদ্য পড়ে থাকে
সিঁদুর মাখানো বেলপাতা,জবাফুল,অসিদ্ধ আতপ
এমন নিমগ্ন সন্ধ্যাবেলা প্রসাদের লোভে ছুটে আসে
অবেলার পথিক,ভিখেরী,ছিন্নমূল ভবঘুরে

ভিড়ের ভেতর টের পাই
দেবী নয়,মাংশভূক শ্বাপদের শ্বাস

পরবাসী

মৃত্যুদিনের ফ্যাকাসে রঙে পালিয়ে এসেছ আমাদের এ গদ্যশহরে
এখানে তুড়ির শব্দে উড়ে যায় কোকিল।সন্ধ্যার নীল শ্বাসে
ঘন হয়ে ওঠে শান্তিপ্রিয়তার ছায়া।

বুনো কাঠগোলাপের ঝাড়,মহুয়ার জনশ্রুতি,----
আরুঢ় পৃথিবী অনায়াসে বদলায় নিজের রঙ।

পূণর্বার ফিরে যাবে শালপাতার আশ্রয়ে
যেখানে উঠোন ঘিরে থাকে নক্ষত্রমন্ডলী
আর পূর্ব দিকে চাঁদ ওঠে।

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

করোটির সাদৃশ্যতা

অস্ফুট গানের শব্দে পরিত্যক্ত সমাধি ফলক নড়ে ওঠে
অব্যবহৃত জারুল বনে পড়ে থাকা কিছু কংকাল,করোটি
সৃষ্টি ও ধ্বংশের রক্তবীজে তাদের গোপণ সঙ্গমের সাক্ষী শ্যামাপোকা;

গ্রীষ্মতাপ গায়ে মেখে আমি এসেছি এ বনে

পেছনে পরিহাসের ধর্ম
সামনে সমান উচ্চতার গাছ
অবোধ্য উচ্চারণের ভৌগলিক নাশকতা জলে ঝড়ে দিগভ্রান্ত
এক নিমগ্ন ভালোবাসায় আমি শেখাতে এসেছি গান
ত্রিমাত্রিক জ্যামিতি ও ভূমি খনন যন্ত্রের ব্যবহার
আর মৃতদের পায়ে ঠেলে পশুবধের নূতন নীতিকথা

বিলুপ্ত ম্যামথ;ভাষা ও সৌষ্ঠব ভেঙে
কী জটিলতার সারাৎসার,----

আমি দ্রুত দেখে নেই পড়ে থাকা ঐসব কংকাল
এবং করোটির সাদৃশ্যতা

দ্বিতীয় ঈশ্বর

আজ রাতেই ভেবেছি জন্ম দেবো দ্বিতীয় ঈশ্বর।অবচেতন মননে সহজাত
পূরোনো বেদনা ভুলে নিরেট বাস্তবতার আঙ্গিকতা;যা মহাবিশ্বের প্রতিধ্বনি মাত্র।
আমি সেইসব কথা লিখে যাবো;যা ধাতুর মতো মূল্যবান।মাটি খুঁড়ে তোমরা যে সব
আঁকর তুলেছ---সেটা কেবল হানাহানিতে ব্যয় হচ্ছে।যে উপায়ে পশুবধ করছ তা
নীতিহীন।ভূমি জরীপ ও খননের যন্ত্রগুলো ব্যবহার করেছ তা অকল্যাণকর।

দুঃসহ নৈঃসঙ্গে আমি ভেবেছি সমস্ত দিন ভূ-খন্ড বা শুধু জলরাশি আমাদের
তৃপ্ত করে না।বাস্তবে প্রতীকীবাদই স্বচ্ছন্দে জায়গা করে দেয়।

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অবৈধ সঙ্গমলোভ

সম্পন্ন শব্দের অগোচরে কত কবিতা লিখেছি
তোমার শরীরে
আপাত স্বরব্যঞ্জনে চুম্বনের রেখাচিত্র,---
জলজ ভাষার অভিজ্ঞানে তোমাকে জেনেছিলাম

নিবিড় সেসব নগ্ন রাত;এখনো আবছা মনে পড়ে
শুভ্র সম্মিলিত তোমার প্রণত চোখে সমর্পণের আহ্বান
শরীরের সমাহিত উন্মোচনে---আমি ভেদ করে গেছি কঠিণ প্রিজম

অবৈধ সঙ্গমলোভে আমি কতবার ফিরে এসেছি প্রবাস থেকে

২.
ঈশ্বরীর গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে যে শয়তান;
তার  সাদা দাঁতে রক্তের টুকরো
অবৈধ সঙ্গমলোভে পারঙ্গম নমঃশুদ্রচারী পৃথিবী,তোমাকে আশীর্বাদ
কিশোরীর রহস্যময় শরীর মুনী ঋষির সামনে মেলে ধরে দেখো

তার নির্বাণের মোহ ভেঙে যেতে কতক্ষন

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বাস্তবতা

আদিবাসী রমণীর সুডৌল পায়ের নাচ দেখেছ?মঙ্গলদীপ জ্বেলে
নাচের জটিল মুদ্রা গিলে খায় কৌম অন্ধকার
আর তাদের কাঁচুলি বেয়ে ঝরে পড়ে
ইশারাময় যৌবন।

মধ্যরাতে ঘুমের ভেতর
তোমার কামার্ত দেহ জেগে ওঠে
আমার করতলের সুখস্পর্শে,
গভীর সুড়ঙ্গপথে পারমাণবিক বিস্ফোরণে।

আমাদের বাস্তবতা শেষ হয় এখান থেকেই।

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

চোখের ইঙ্গিত

ব্যকরণহীন জীবন চেয়েছিলাম,---
বোঝে নি সে নারী
বুকের কাঁচুলি শক্ত করে বেঁধে চলে গেল

গত রাতের দেহের নিবিষ্টতা,ক্ষীণ যৌন নিঃশ্বাস,শিৎকার
সন্দেহ তাড়িত সকালের পথের ওপর তার শীর্ণ ছায়া
শোনা গেল কিছু অভিব্যক্তি

যদি সম্পূর্ণ শরীর খুলে পড়ে চোখের ইঙ্গিতে

পর মুখাপেক্ষী

তোমাদের এত অহংকার,এত ক্রোধ

তাকাও,বিমান থেকে নামছে ওষুধ
সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে চাল,মদ,সিগারেট,শিশুখাদ্য,মার্বেল পাথর
বিদ্যুৎবিহীন ষষ্ঠীর পয়মন্ত চাঁদ
জ্বলে আর নেভে

তোমাদের অহংকার,তোমাদের ক্রোধ জ্বলতে জ্বলতে
নিঃশেষ হয় না কেন

বিমূর্ত

রমণীকে চেয়েছিলাম বিমূর্তরুপে।
দৃষ্টিগ্রাহ্যের ভেতর।
যখন পাহাড়ে উঠে দেখি সারি সারি যুগল পাহাড়
তখন সাদৃশ্যতার মধ্য

তার দু'টি স্তন।