Powered By Blogger

শনিবার, ২৮ মে, ২০১১

সমুদ্র

সমুদ্রের উপকূলে নিঃসঙ্গ গাঙচিল বলেছিলঃ
অনির্বান দুঃখ তাপ সমুদ্রের জলে নিঃশোষিত
হয় না তবুও কেন বারবার ফিরে আসো সমুদ্রের কাছে

নিঃসীম জলের সাথে আমাদের দেহের রক্তের
ঘনত্ব,উষ্ণতা সব একাকার সমুদ্রের জলের উষ্ণতা
ঘনত্বের সাথে ঘাম,চোখের পানির
স্বাদ সমুদ্দুরের জলের মতোনই নোনা

অস্তিত্বের খোঁজে ফিরে ফিরে আসি সমুদ্রের কাছে

২৭.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।

বুধবার, ২৫ মে, ২০১১

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

শ্রাবনের অবিশ্বাসী জলে কি খুঁজছ
গতরাতে ধুয়ে ফেলা আত্মার সে পাপ
ভেসে গেছে তা দূর অতীতে
পড়ে আছে ছায়া জলের প্রচ্ছদে

সূর্যোদয়ে কোনো প্রত্যাশা কোরো না
বরঞ্চ এগিয়ে এসোঃ
উষ্ণ হই হৃদয়ে হৃদয় ঘষে
প্রজ্বলিত করি নিজেদের

২.
দিগন্তে কি খোঁজো
জেনে রেখোঃসূর্যাস্তের কাছে প্রার্থনা নিষ্ফল
চান্দ্রজ্যোৎস্নার আলোকে অবিশ্বাসী হয়ে যাও
অন্ধকারে পথ হারাবে না
সব পথই নিশ্চিত কোনো না কোনো গৃহের
দরোজায় গিয়ে শেষ হয়।

২৫.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।

প্রজাপতি

সারা গ্রীষ্মকালটা সে কাটিয়েছে ফুলে ফুলে ডানায় পরাগ মেখে
উদ্দাম রোদের
মাদকতায় ডানায় চিকচিক করছিল ফুলের ডিম্বানু
নিষিক্তকরণ ভ্রুণ ফুলে পরিণত করেছিল
নিজের অজান্তে আর অবসরে শুনেছিল পাখ-পাখালির
চান্দ্রগীতি,---তারপর যখন তুষারে ঢেকে গেল
গোটা পৃথিবী,শুকিয়ে গেল বাগানগুলো,সমস্ত
ফুলগুলো ঝরে গেল,সূর্য ঢাকা পড়ে গেল মেঘের আড়ালে
হিম বাতাসে ছড়িয়ে গেল চারদিক বিষাদের
করুণ নিনাদ,শুভ্র চাঁদরে মুড়ি দিয়ে ঝিমোয় পৃথিবী

অতঃপর সে তখন খুঁজে নিল পাথরের এক গুহা এবং
তার হৃদয় বিদীর্ন করে বের হল
করুণতম ক্রন্দনঃহায়! ঈশ্বর গ্রীষ্মকালের
স্থায়ীত্ব স্বল্পায়ু কেন এত এবং তারপরেই সে
মুখ থুবড়ে পড়ল পাথরের মেঝে

২৪.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।

সোমবার, ২৩ মে, ২০১১

কদর্য বিভৎসতা

কুয়াশার আস্তরণ গায়ে মেখে আলকাতরার
কালো,গাঢ় অন্ধকার তাড়াবার ব্যর্থ
চেষ্টায় ফুঁপিয়ে কাঁদে ল্যাম্পপোষ্ট নিঃসঙ্গ,একাকী
সম্ভাবনাময়ী ভোর দূর কোনো সুড়ঙ্গে ঘুমোয়
বিপ্লবী য্যানো এক স্বেচ্ছা নির্বাসিত

মশারীর জাল ফেঁসে স্বপ্নগুলো দিগন্তে লুকোয়
সর্বহারার অজেয় মনোভাবে মশাগুলো
লাল মিছিলে সামিল অকুতোভয়,সাহসী সু-শৃংখল সৈনিকঁদের
                                                            দৃপ্ত পদভারে
প্রকম্পিত রণাঙ্গন সামনে এগুনো ছাড়া য্যানো অন্য ব্রক্ষমন্ত্র
                                                          অজানা তাদের

ষ্ট্যাচু অব লিবার্টির উজ্জ্বল মশাল নিভু নিভু
                                                 আত্ম-ধিক্কারে,প্রবঞ্চণায়
অভিবাসী সামুদ্রিক অসুরেরা প্রবল প্রতাপে
উপকূলে জোটবদ্ধ বিভৎস কদর্যতার হাইব্রীড বীজ
ছড়ায় এশিয়া আফ্রিকায়
লাতিন মধ্যপ্রাচ্যের পথে পথে

আগুনে আগুনে জ্বেলে ভস্মীভূত হোক
কদর্যতার বিভৎস রুপ।

২৩.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।


রবিবার, ২২ মে, ২০১১

ড্রোন

এক দুই তিন চার......সাত আট স্তব্ধ হয়ে আছি
বিনিদ্র প্রহর গুণে গুণে রাত্রির উচ্ছিষ্ট স্বপ্ন
সকালেই পেয়ে বসে পচা-গলা কাঁদার মতোন
সর্বাঙ্গে জড়িয়ে থাকে অবসাদ্গ্রস্ত সরীসৃপ

বিদ্রোহীর উদ্ধত মস্তক য্যানো আকাশ প্রস্তুত
রাজ-দন্ডাদেশ মেনে নেয়ার গভীর শোকে দয়িতার চোখ
নিমজ্জিত রণাঙ্গনে যুদ্ধ নেই,বন্ধ রক্তপাত
গোলা-বারুদের দৃষ্টি বিভ্রম ধূমল নেই,আগ্নেয়াস্ত্রের
তীব্র ঝলকানী নেই;শান্তি পরিভ্রমণ করছে
বহিরাগত শরণার্থীর ন্যায় গুটি গুটি পায়

তবু শব্দহীন ড্রোন বিমানগুলো নিঃশব্দে ওড়াওড়ি করে
বুকের ভেতর দিয়ে শান্তির পায়রা য্যানো এক

গাজীপুরা,ঢাকা
২২.০৫.১১

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১১

অপার্থিব জ্যোৎস্নালোক

পূর্ণচাঁদের জ্যোৎস্নায় ভরে ছিল চারপাশ নদীর দু'কূল
ছাপিয়ে উন্মত বাঁধভাঙ্গা স্রোতের মতোন জ্যোৎস্না
প্লাবিত হচ্ছিল গোটা উপত্যকা জুড়ে
গাছের সবুজ পাতা থেকে টুপটাপ ঝরে পড়ছিল জ্যোৎস্না
কুয়াশার স্তব্ধতায় রাতজাগা পাখির ডানায়
লেগে থাকা ভেজা জ্যোৎস্না চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছিল
চাপ চাপ অন্ধকার গাছের খোড়লে,বনভূমে
নিরুপায় আত্ম-সমর্পণে ভেসে যাচ্ছিল প্রবল
চান্দ্র জ্যোৎস্নার জোয়ারে;দুর্বাঘাসের নরোম ডগা
ছুয়ে যাচ্ছিল জ্যোৎস্নার প্রবাহিত স্রোতে
পাহাড়ের চুঁড়া থেকে তরল জ্যোৎস্নার তীব্র স্রোত
ভেঙ্গে পড়ছিল কঠিন পাথর
পরিপুষ্ট ফসলের সোনালী ঔদ্ধত্য ম্লান অপার্থিব জ্যোৎস্নালোক
অবিরল ধারা
বয়ে যাচ্ছিল লেকের স্বচ্ছ,স্থির,টলটলে জলের ওপর
রুপোলী জ্যোৎস্নায় মনে হচ্ছিল দৃষ্টিনন্দন দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত
এক নৈসর্গিক
সৌন্দর্য্যের প্রাচুর্যতা নিসর্গের নিস্তব্ধতা নেমে
এসেছিলো গোটা পৃথিবীতে
একফোঁটা মেঘ ছিল না আকাশে ঝিরিঝিরি বাউল বাতাসে
ফুলেল নির্যাস ভেসে আসছিল আর
পেছন পেছন তাড়া করছিলো নিরন্তর কাল
দ্রুতগামী অশ্বের মতোন
ধাতব ঝালর দেয়া ঊষর পৃথিবী প্রভাতিক
স্নিগ্ধ শিশিরের মতো ঝলমল করছিলো রুপোলী জ্যোৎস্না

সে এক অপূর্ব, ঐশ্বরিক রাত ছিলো
দুগ্ধফেননিভ,শুভ্র শাড়ীতে রাজেন্দ্রানীর অহংকারে গর্বোদ্ধত
 সুষমামন্ডিত
জ্যোৎস্নায় পায়ের পাতা ডুবে যাচ্ছিল লেকের তীরে
তোমার সলীল পদচিহ্ন আলপনা আঁকছিল
ফিনিক জ্যোৎস্নার বুকে;ঠোঁটে ছিল মৃদ্যু সঙ্গীতের
মোহময়ী এক সুর;অপূর্ব আবহে মনে হচ্ছিল ঐন্দ্রজালিক
এ সুরের সৃষ্টি
পৃথিবীতে নয়,অন্য কোন এক ভূবনে,স্বর্গীয়
আলোর দ্যুতিতে ভরে ছিল প্রগাঢ় চোখের ভাষা
এই উন্মন জ্যোৎস্নায় টেনে নেবার প্রবল আকর্ষণ চোখে
খেলে যাচ্ছিল তোমার আর কামনার বাষ্পগুলো
গলে যাচ্ছিল জ্যোৎস্নার কোমল আলোয়
ব্রীড়াময় ভঙ্গিমায় সর্পিনীর মতো
জৈবিক তাড়না স্পর্শ করছিলো স্বণনে,স্পন্দিত
মধুক্ষরা কন্ঠস্বরে দেহের জৈবিক ঘ্রাণে আলিঙ্গনাবদ্ধ
মাদকতায় আবিষ্ট পরস্পর নৈতিকতা হারানোর বোধে
কামতপ্ত ঠোঁটে এঁকে দেই চুম্বনের উঁল্কি;বিস্ফোরিত দেহে
শরীরের কোষে কোষে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি জলধারার মতন
চির বহমান
সময়ের স্রোতে ভেসে জ্যোৎস্নালোকের এ রাত হয়
 মৈথনিক ঘাসের শয্যায়
তৃপ্ত হয় আমাদের নগ্নদেহ উদার,উন্মুক্ত
অপরুপ সাজের প্রকৃতি জ্যোৎস্নার চাদরে ঢেকে
দেয়;সমস্ত শরীর অবসাদে ভরে যায়। নীরব,নিঃস্তব্ধ শান্তি
স্বাপ্নিক প্রহরে

তারপরের প্রহর গুলো বিষাদময়,কর্দমাক্ততা
জ্যোৎস্না রাতগুলো ম্লান,আলোহীন,ম্রিয়মান ধোয়াটে,ফ্যাকাশে
দিন,সপ্তাহ,মাসান্তে একে একে জলাধার শুকিয়ে নিঃশেষ
হয়ে গেছে;নির্জনতা ঢেকে দিলো আমার জীবন
মৃতুর অতল তলে অনন্তঘুমে বিভোর তুমি
শান্তি,চির শান্তির আশায়
গাঢ়,কালো অন্ধকার নিঃস্তব্ধ কবরে
তোমার প্রসূন দেহ আজ মিশে আছে

স্মৃতির ভাঁড়ারে তুমি আজ যাবজ্জীবন মেয়াদে

আসন গেড়েছো মগজের কোষে কোষে,শরীরের
শিরা-উপশিরা ব্যেপে নিস্তরঙ্গ পদচারনায়
চির সতেজ,উচ্ছল প্রাণবন্ত এক
চঞ্চলা ময়ূরী য্যানো চন্দ্রালোকিত জ্যোৎস্নায় দেহের গভীরে
প্রজনন অঞ্চলের উর্বর প্রদেশে
শুক্রাণুর অবাধ প্রপাতে পরিপূর্ণ হয়েছিলো
আমাদের প্রেম আর সেই প্রেমের ফসল নবজাতকের
চোখে দেখিঃআজো তুমি চির যৌবনবতী,নিভাঁজ
বলিরেখাহীন মুখচ্ছটা,মাদকতাময় চোখ
রক্তক্ষরিত হৃদয়ে অবসিত আমি
ক্ষয়াটে,ফ্যাকাসে,ক্ষীণ চোখে নিরন্তর
সময়ের চোরা স্রোতে সাঁতরাতে থাকি


২০.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।


বুধবার, ১৮ মে, ২০১১

মহাপ্রয়াণ

একটা রাত ছিল থমথমে কালো
                        নিকষ অন্ধকারের
মনে হচ্ছিলো প্রকৃতি গাঢ়,নিকষ অন্ধকারের
আলখাল্লায় নিজেকে মুড়ে নিয়েছিলো
একফোঁটা বাতাস ছিল না,গাছের পাতাগুলোও
হাঁস্ ফাঁস করছিলো মেঘগুলো একতিল ফাঁক না রেখেই
চলে যাচ্ছিলো তোমার গন্তব্যের আগমনী বার্তা পৌঁছানোর
রাতজাগা কোনো পাখি বের হয় নি বাইরে ঝিঁ ঝিঁ পোকাগুলো
আশ্চর্য রকম ভাবে ঝিম মেরেছিলো
নৈঃসর্গিক নিঃস্তন্ধতা নেমে এসেছিলো পৃথিবীতে
নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের রাজ্যে মহাজাগতিক বোধের অতীত
দীর্ঘতম রাত ছিল সেটা এক হাজার রাতের
                                   সমান বিষাদময় রাত
আকাশের খোলা দরোজায় উঁকি দিচ্ছিলো তোমার
প্রিয় সেইসব মুখ;যাদের স্নেহার্শীবাদে কেটে যেত সারাবেলা
                                             ঊষর অতীতে
হয়তো বা দেরী দেখে অস্থিরতায় উদ্বিগ্ন প্রিয় স্বজনেরা

১৯.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।

ভাঙ্গনের সুর


ভাঙ্গনের সুর শুনি অন্তরাত্মা জুড়ে
কেবলই হাহাকার গাঢ় জীবনানন্দীয় বোধের ইস্পাত
বেড়ি চেঁপে বসে বুকে;লোভের দেয়ালে
বাঁধা পড়ে থাকে সূর্য: প্রতিমা নির্মাণে লাভ নেই
বিসর্জনই যখন শেষ পরিণতি

তবু বিভ্রান্ত মানুষ বট নয়,ভালোবাসে বট বনসাঁই

১৫.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।

এল নিনিও


আকাশের অপার বিস্ময় পান করে কৈশোরোত্তীর্ণ যুবক
যাযাবর পাখির মতোন উড়ে চলে স্বচ্ছ দৃষ্টি
পানের পিকের ছোপে পলেস্তারা খসানো,ক্ষয়াটে
সিঁড়ি বেয়ে আকাশের প্রান্তে বসে দেখেঃ
শূন্যাকারে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতির তীব্র গতিবেগ
গড়াতে গড়াতে ক্ষয়ে যেতে পারে এর গোলাকার ছাঁচ

এল নিনিও-তে নৈঃশব্দের নিঃস্তব্ধতা নেমে আসে
ইকুয়েডর,পেরুর উপকূল জুড়ে
প্লাংকটন নেই,নেই মাছেদের প্রাণোদনা,দাপাদাপি
সব পাখি সামিল মৃতুদেশের খোলা দরোজায়
গুয়ানা কোথায়
ঝড়ো বাতাসে পামবীথির পাতা কেঁপে কেঁপে
করুণ আর্তনাদের ব্যাথাতুর সুর তোলে
মনে হয় ঝড়,ঝঞ্ঝা,বিক্ষুদ্ধ বন্যায়
কোকো,কফির বিস্তীর্ণ ক্ষেত
ভেসে যাওয়া কৃষকের মর্মভেদী কান্না।

১৭.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।

সোমবার, ১৬ মে, ২০১১

স্বর্ণের রাজপ্রাসাদ

"আমি তোমাদের সত্যিই বলছি,ধনীলোকের পক্ষে বেহেশতী রাজ্যে
ঢোকা কঠিণ হবে।"
( মথি ১৯:২২-৩০/ইঞ্জিল শরীফ)

সু-শোভিত অফসেটে ঈসা-মসীহের বাণী পড়ে
মুগ্ধ হয়ে যাই,ভাবি:পরমপিতা ঈশ্বর হত-দরিদ্রের জন্যে
                                                               গাঢ় মমতায়
কী অমানুষিক পরিশ্রমে,নির্ঘুম!স্বর্ণের ইট
দিয়ে গেঁথে তুলেছেন লোভের রাজপ্রাসাদ স্বর্গের বাগানে

'ক্ষুধা মেটানোর জন্যে রুটি দাও প্রভূ'
নিরন্নের হাহাকারে ভ্রুক্ষেপহীন ঈশ্বর একমনে গেঁথে
চলেছেন স্বর্ণের রাজপ্রাসাদ

১৭.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।

মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০১১

রাজহংসী

সারল্যের কৌতুহল ঝরে পড়ছিল তার দুই চোখ থেকে
সুর্যের নরোম আলো খেলা করছিল তার চোখে
রোদ্দুরের স্বপ্নমাখা ভালোবাসা জোছনার উন্মত প্লাবনে
ভেসে যাচ্ছিল কখনো;শিমুল পলাশে ঘেরা পুকুরের জলের
অপার বিস্ময়ে মুগ্ধ জলকেলীতে মুখর রাজ হাসেঁদের
মাছেদের প্রাণোচ্ছ্বাস;বিকেলের সূর্যরশ্মি ম্লান তার কাছে
একাকী,নিঃসঙ্গতার প্রতিমুর্তি শঙ্খের মতোন
সাদা,মসৃণ পা জলে ডুবিয়ে আনন্দে মেতেছিল
এক রাজহংসী য্যানো;ঝড়ো হাওয়ায় নিঃসঙ্গ ধবোল কপোত
ভীরু মোহাবিষ্ট এক তন্ময় পুরষ
দ্বিধার দেয়াল ভেদ করে মহাজাগতিক সড়কের শেষে
দাঁড়ালাম স্বপ্নাচ্ছন্ন তরুণীর মুখোমুখি গোধূলি বেলায়!
আসন্ন সন্ধ্যার সব বর্ণালী লালিমা ছিল তার চোখেমুখে
এবং তার স্বচ্ছ,কালো প্রগাঢ় চোখের অভিব্যক্তি,তীব্র
বিষের ধারালো তীর বুকের পাঁজর চির্বে আঘাত করল
তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে ;শরীরের শিরা-উপশীরা ব্যেপে
তারপর কালরাত্রি গ্রাস করলো আমার সব আনন্দ ও
সুখের মুহূর্তগুলো;স্বাক্ষ্য দেবে শেষ বিকেলের
সূর্যরশ্মি এখনও ভোলেনি সেসব স্মৃতি দুঃসহ যাতনা
ক্লান্তি আর অবসন্নতায় স্তব্ধ বিনিদ্র প্রহরে

০৯.০৫.১১
উত্তরা,ঢাকা।