রাত্রির মশাল জ্বলে উঠলে আমরা একে অন্যের শরীর হাতড়াই
বারান্দার প্রসন্ন টবের ফুলগুলো আমাদের জানে
আমরণ অন্তঃসার অস্তিত্ব চেতনা লুপ্ত---গূঢ় আশংকায় জেনে নিই
যারা সমুদ্রের বুকে নৌকা ভাসিয়েছিল;বাতাস ভেঙে ভেঙে তারা কতটা সফল
অফুরান অনুপ্রেরণার সূর্য তুমি জেনে নাওঃ
আমাদের প্রত্যাহিক দিনযাপনের গ্লানি নেই,শত অপমানেও আমরা স্থির
সমুদ্র জেনেছে আমাদের লবণজল শরীর সূর্য্যাস্তের দিকে
'মিলনী সংরাগে অশ্রুত গানের চেয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের সুর বড় বেশী লোভনীয়'
চেতনাউদ্ভুত,অন্ধ কবি এই কথা মেনে নিহিত বোধের মধ্যরাতে চলে গেছে
প্রেমিকাকে ফেলে,চুপিসারে
প্লাবিত সঙ্গীত আমাদের শিরায় শিরায় রক্তের অমিত,---জ্বলে ওঠে
স্বাতী তারা কি ফুটেছে,সপ্তর্ষিমন্ডল আকাশের কোনদিকে দেখে নাও
আমরা এবার নৌকা ভাসাব দিগন্তে
২.
জোছনার স্বতঃস্ফুর্ত অবরোধে তারাদের বিপণি বিতান আজ বন্ধ ছিল
চে' খচিত গেঞ্জি ক্যাপে সাত ঋষির অলস দিনযাপনের গ্লানি,----
কেউ বাধ সাধে নি; নির্জন সান্ধ্য অভিসারে সম্ভ্রম হারানো
আদিবাসী রমণীটিকে ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির আপাত পার্থক্য
বুঝিয়ে বলছিলেন স্মার্ট এক মেয়ে সাংবাদিক
ক্লান্ত শহরের গলিঘুঁজি,হাঁটুজল,কাদা পার হয়ে
আমি জানি কোনপথে গেলে তাড়াতাড়ি ফেরা হবে
দ্রুত খুচরো পয়সা গুনে দেখে নিই
বাদুড়ঝোলা বাসের সারি সারি চলন্ত মিছিল
৩.
একেকটি শব্দের আঘাতে নারিকেল বাগানের নির্জনতা ভেঙে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরে
আমি নিমগ্ন খালের জল থেকে উঠে আসি
অন্ধকার মাঠের ওপারে প্রেত-পিশাচের সংহত আনন্দে সুদূরতম উৎসব
অন্ধকার মাঠ পার হয়ে গেলে চার দেয়ালব্যাপী নিজস্ব আলোর স্ফুরণে
আমার লৌকিক বাড়ী
সুপুরী গাছের অনাশ্রয়ী প্রতিবাদে স্পন্দিত উঠোন
বাইরে ঝুমকোলতা দোলে
বাড়ী ফিরে দরোজা খোলার আগে মুছে ফেলি পথের বিস্ময়
দু'পাশের বাঁশবনে পদ্মপুকুরে যতই বৃষ্টি হোক
এক মোমবাতি থেকে আরেক মোমবাতির শিখা জ্বলে ওঠে বিপর্য্যস্ত
প্রণত দু'চোখ জেনেছিল সমস্ত গোধূলিবেলা
বনের ভেতর শান্ত নদী
ফুলের আঙুল ঘিরে রাখে বিন্যাসিত দেহ স্পর্ধিত শপথে
বকুলফুলের মৃদ্যুগন্ধে স্ফুরিত অনন্য এক জরাজটিল রিরংসা
আজ আমি সারারাত তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকব
৪.
বসন্তের বিশুদ্ধ নিয়মে যদি গাঁদা ফুটে থাকে
তবে কেন আমার সম্পন্ন বাগানের মালতী লতার ছায়া
আদিগন্ত গোলাপের ছবি চোখের সামনে থেকে সরে যায়
বাগানে ফেরার দিন শেষ হয়ে গেছে কবে
এতো স্পষ্ট মনে পড়ে করবী,মল্লিকাফুল
গোবর নিকানো উঠোনের ডালিমগাছে ঘোষিত দীপ্তি
জিহ্বার জড়তা নিয়ে
সারাদিন তোমাকে ডেকেছি একদিন অতৃপ্ত প্রেমিক
প্রতিসাম্যতার বসন্ত প্রহরে
আকাশে আলোর রেখা কেঁপে গিয়েছিল অস্পষ্ট বিষাদে
শব্দহীন বিস্ফোরণে দ্বিতীয় নির্মাণ শেষ হলে যে সমস্ত শিল্পী
মেঘ এবং আকাশের ছবি এঁকেছিল
তাদের সম্পর্কে আমি ভাবিঃ
নিমগ্ন ভালোবাসায় তারা ছুঁয়েছিল উজ্জ্বল রোদের দিন
সহজাত মেঘের ফাটল বেয়ে নেমে আসা বিকেলের আলো
আমার সৌন্দর্য্যবোধ ফিকে হয়ে আসে জীবাষ্মের অন্ধকারে
শালগাছে কচিপাতা আসার আগেই চলে গেছে সাঁওতাল রমণীরা
ইতস্ততঃ পড়ে আছে পাখির পালক, গলামাংশ
আমি বসে থাকি কবিতার কাছাকাছি
টিলার ওপার থেকে যদি ডাক আসে সংহত উৎসবের
পাহাড় টপকে মৃত্যুও পালিয়ে যাবে
বারান্দার প্রসন্ন টবের ফুলগুলো আমাদের জানে
আমরণ অন্তঃসার অস্তিত্ব চেতনা লুপ্ত---গূঢ় আশংকায় জেনে নিই
যারা সমুদ্রের বুকে নৌকা ভাসিয়েছিল;বাতাস ভেঙে ভেঙে তারা কতটা সফল
অফুরান অনুপ্রেরণার সূর্য তুমি জেনে নাওঃ
আমাদের প্রত্যাহিক দিনযাপনের গ্লানি নেই,শত অপমানেও আমরা স্থির
সমুদ্র জেনেছে আমাদের লবণজল শরীর সূর্য্যাস্তের দিকে
'মিলনী সংরাগে অশ্রুত গানের চেয়ে সমুদ্রের ঢেউয়ের সুর বড় বেশী লোভনীয়'
চেতনাউদ্ভুত,অন্ধ কবি এই কথা মেনে নিহিত বোধের মধ্যরাতে চলে গেছে
প্রেমিকাকে ফেলে,চুপিসারে
প্লাবিত সঙ্গীত আমাদের শিরায় শিরায় রক্তের অমিত,---জ্বলে ওঠে
স্বাতী তারা কি ফুটেছে,সপ্তর্ষিমন্ডল আকাশের কোনদিকে দেখে নাও
আমরা এবার নৌকা ভাসাব দিগন্তে
২.
জোছনার স্বতঃস্ফুর্ত অবরোধে তারাদের বিপণি বিতান আজ বন্ধ ছিল
চে' খচিত গেঞ্জি ক্যাপে সাত ঋষির অলস দিনযাপনের গ্লানি,----
কেউ বাধ সাধে নি; নির্জন সান্ধ্য অভিসারে সম্ভ্রম হারানো
আদিবাসী রমণীটিকে ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির আপাত পার্থক্য
বুঝিয়ে বলছিলেন স্মার্ট এক মেয়ে সাংবাদিক
ক্লান্ত শহরের গলিঘুঁজি,হাঁটুজল,কাদা পার হয়ে
আমি জানি কোনপথে গেলে তাড়াতাড়ি ফেরা হবে
দ্রুত খুচরো পয়সা গুনে দেখে নিই
বাদুড়ঝোলা বাসের সারি সারি চলন্ত মিছিল
৩.
একেকটি শব্দের আঘাতে নারিকেল বাগানের নির্জনতা ভেঙে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পরে
আমি নিমগ্ন খালের জল থেকে উঠে আসি
অন্ধকার মাঠের ওপারে প্রেত-পিশাচের সংহত আনন্দে সুদূরতম উৎসব
অন্ধকার মাঠ পার হয়ে গেলে চার দেয়ালব্যাপী নিজস্ব আলোর স্ফুরণে
আমার লৌকিক বাড়ী
সুপুরী গাছের অনাশ্রয়ী প্রতিবাদে স্পন্দিত উঠোন
বাইরে ঝুমকোলতা দোলে
বাড়ী ফিরে দরোজা খোলার আগে মুছে ফেলি পথের বিস্ময়
দু'পাশের বাঁশবনে পদ্মপুকুরে যতই বৃষ্টি হোক
এক মোমবাতি থেকে আরেক মোমবাতির শিখা জ্বলে ওঠে বিপর্য্যস্ত
প্রণত দু'চোখ জেনেছিল সমস্ত গোধূলিবেলা
বনের ভেতর শান্ত নদী
ফুলের আঙুল ঘিরে রাখে বিন্যাসিত দেহ স্পর্ধিত শপথে
বকুলফুলের মৃদ্যুগন্ধে স্ফুরিত অনন্য এক জরাজটিল রিরংসা
আজ আমি সারারাত তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকব
৪.
বসন্তের বিশুদ্ধ নিয়মে যদি গাঁদা ফুটে থাকে
তবে কেন আমার সম্পন্ন বাগানের মালতী লতার ছায়া
আদিগন্ত গোলাপের ছবি চোখের সামনে থেকে সরে যায়
বাগানে ফেরার দিন শেষ হয়ে গেছে কবে
এতো স্পষ্ট মনে পড়ে করবী,মল্লিকাফুল
গোবর নিকানো উঠোনের ডালিমগাছে ঘোষিত দীপ্তি
জিহ্বার জড়তা নিয়ে
সারাদিন তোমাকে ডেকেছি একদিন অতৃপ্ত প্রেমিক
প্রতিসাম্যতার বসন্ত প্রহরে
আকাশে আলোর রেখা কেঁপে গিয়েছিল অস্পষ্ট বিষাদে
শব্দহীন বিস্ফোরণে দ্বিতীয় নির্মাণ শেষ হলে যে সমস্ত শিল্পী
মেঘ এবং আকাশের ছবি এঁকেছিল
তাদের সম্পর্কে আমি ভাবিঃ
নিমগ্ন ভালোবাসায় তারা ছুঁয়েছিল উজ্জ্বল রোদের দিন
সহজাত মেঘের ফাটল বেয়ে নেমে আসা বিকেলের আলো
আমার সৌন্দর্য্যবোধ ফিকে হয়ে আসে জীবাষ্মের অন্ধকারে
শালগাছে কচিপাতা আসার আগেই চলে গেছে সাঁওতাল রমণীরা
ইতস্ততঃ পড়ে আছে পাখির পালক, গলামাংশ
আমি বসে থাকি কবিতার কাছাকাছি
টিলার ওপার থেকে যদি ডাক আসে সংহত উৎসবের
পাহাড় টপকে মৃত্যুও পালিয়ে যাবে