deshmattrika
রবিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৬
বুনো ঘ্রাণ
আমি ছিলাম লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি
আর তোমার শরীর ছিল ক্যানভাস
আমাদের মৈথনিক প্রেমে কামাতুরা পৃথিবী যখন সিক্ত হল
আমরা যে যার পথে মিশে গিয়েছিলাম
পরিত্যক্ত চোলি ও কাঁচুলি
আমি আজও সেই বুনো ঘ্রাণ পাই
শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫
ভুল সময়ের সন্তান
কোকিলভাষ্যে সমূহ প্রেম ঝরে পড়ে
আনত চোখের দৃষ্টি,অশ্রুপাত ও রক্তের স্রোতে
অনুদিত হতে থাকে হেমন্তের পাতাঝরা গান
জলপতনের ধারা থেকে রাঢ় ও গাঙ্গেয় উপদ্বীপে
শুধুই শূন্যতা - দূরদ্বীপবাসিনী রমণী ভুলে গেছ
সার্বজনীন ভাষার ব্যাকরণ ও পরাবিদ্যক কবিতা
যা লেখা হয়েছে কিংবা
যা এখনও লেখা হয় নি - অনামী মেঘ,সামুদ্রিক শৈবাল ও ঢেউ
গোধূলিবেলার শেষ বোঝাপড়া
আমাদের মাঝখানে পারস্পর্যহীন অক্ষমালা,অনুশাষিত অতীত
ছড়ানো চৈত্রের দুপুরের মতোন নূতন ভাষা
কাকের অক্ষর এবং মনোলীনা গানে আত্মরতি সময়ের হাহাকার
এখন কি তবে ভুল সময়,সবাই ভুল সময়ের সাহসী সন্তান
বিচ্ছুরণের মায়াবী রেখা
আয়না ও আত্মপরিচয় ভেঙে স্তম্ভিত প্রেমিক
বুকফাঁটা আর্তনাদে কেঁপে উঠি
ভাঙা গানের কলির মতো - সারা ঘরময় রুপান্তর
শিশিরের খোঁজে,অশ্রু ও রক্তের খোঁজ়ে ঝকমকে মৌরলা মাছের যে জীবন -
জীবনের দীর্ঘতম ফুটপাত জুড়ে বিবর্তনবাদের আলপনা
এ এক রহস্য -
বোধিবৃক্ষের তলায় ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ গৃহে ফিরে যাবে
অধীত জীবন থেকে উড়ে আসে তারবার্তা
নির্বাণের শোক ও লিপিতে বহুদুপুরের নিঃসঙ্গতা
অন্তর্গত বৃষ্টির ভেতর ধূলো ও পরিপক্ক বেদনা
রুপান্তর,বিবর্তনবাদ - অগনন নক্ষত্রের রাত্রি
অজ্ঞাত সমুদ্রতীরে প্রণয় দ্বিধার দৃশ্যে অন্তঃস্নান,চুম্বন,জল ও
জননের সন্ধানে অসংখ্য যুবকেরা চাঁদ-ডোবা অন্ধকারে
শুদ্ধতার তীব্র অভিলাষে পথে নেমেছে - নৈশবিজ্ঞপ্তি এবং ইস্তেহারে লেখা
'ক্ষুধা।মৃত্যু।জ্বরা।শোক।দুঃসময়।রজঃস্বলা নারী।'
মন্দাক্রান্তা রাগমোচনের মাত্রাজ্ঞান ও সুরে
শূন্যতা রাতের আলো জ্বালে আর
অনাথ নদীর বুকে জেগে ওঠে
বিভ্রান্তবোধ,বুদ্বুদ - বিচ্ছুরণের মায়াবী রেখা
বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৫
ক্রৌঞ্চমিথুন এবং ব্যাধের তীরের প্রণয়োপ্যাখ্যান
সূর্যমুখী দিন এবং অন্ধকারের ভেতর যত শব্দ বেরিয়েছে কবির কলম থেকে-তার সবটুকুই কবিতা-পৃথিবীর শেষ কবিতাটি আজ লিখে গেছে কবি-অজস্র লেখার ফাঁকে হাঁ-করা উচ্চাশামুখ নিয়ে কবি শুয়ে আছেন বৃষ্টিগাছের নীচে-ফুল দিয়ে ঢাকা মুখ-চারিদিকে ছড়ানো শব্দের বিশৃঙ্খল জট-কবির বাঁধানো খাতা নীল রঙের অশ্রুতে ডুবে আছে-ঐ অশ্রুজল কবির বহু রাত্রি জাগরণ এবং অনেক অভিজ্ঞতার ফাল-হিম ও শিশির,রৌদ্র ও মেঘের লুকোচুরি,জ্যোৎস্না ও ঝড়জলের অসৌরমন্ডল ভূমি কর্ষণের পর কবি ফেলে গেলেন সূর্যাস্ত,জলরাশি,জন্মের পেছনে জন্ম আর একঘাত অন্তর বিরহ-একেকটি ঘাটে স্তব্ধতা-শতাব্দী ও মহাকালের ভাঙা চাঁদ
কবি জন্ম নিয়েছিল নীল পরিবারে(কবির জীবন কেটে গেছে নীল রঙে রঙে)-সামুদ্রিক ঢেউয়ে ঢেউয়ে কবি রেখে গেছেন স্বাক্ষর-মাটি টানে নি-ভোরের উৎস খুঁজে নিতে ফুসফুসে মাঝরাতে মশাল,পাঁজর ফুঁড়ে লক্ষ জোনাকীর আলো আর মাথাভর্তি মরুঝড়ের বাস্তবতায় নূতন বইয়ে ঠোঁট রেখে প্রেমোচ্ছল বাগদান-
কবি শুয়ে আছেন-বৃষ্টিগাছের থেকে ছাই ঝরছে-প্রণয়,ব্যররথ প্রণয়ের ছাই-কবি লিখে গেছেন ক্রৌঞ্চমিথুন এবং ব্যাধের তীরের প্রণয়োপ্যাখ্যান
গোধূলি উপ্যাখ্যান
গোধূলির পাকা রঙ মিলিয়ে গেলে
সাহসী প্রেমিকা বুক মেলে ধরে
কবির দু'চোখে তখন জোনাকপাখি,বৃষ্টিগাথা-
তার ভেতরের ছন্দ,অপরাধ এবং পাপবোধ
স্তবের মুহূর্ত ফেটে বের হয়ে আসে অতৃপ্ত রমণশব্দ
বাতাসের অদৃশ্য দেয়াল থেকে লকলকিয়ে আগুন ওঠে আর
কবির কলম নখের আঁচড়ে ভেঙে পড়ে
ঠোঁটের কোণায় স্মিত হাসি নিয়ে
কবি উঠে আসেন,নিমগ্ন-পায়ে বালি,কাদা ও কাঁকর
পায়ের তলায় শতাব্দী দাঁড়িয়ে থাকে
রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫
ঋণ
এত ছায়াচ্ছন্ন ভালোবাসা,দুপুরের তাপময় নির্জনতা,-
কোথায় হারিয়ে গেল
রামধনু পথে গ্রন্থ-মলাটের উন্মোচনে প্রেম-সম্মিলন
আমাদের লৌকিক বিবেক এবং বাসনায় কী গভীর তৃপ্ত জলের ফোয়ারা
আমাদের দুই চোখে স্বপ্ন,বুকের ভেতর হিম ও শিশির,-
কুয়াশার টানে মুছে গেল,দূরে
আগুনের তাপ ততটা ছিল না যতটুকু হলে উষ্ণতা ছড়ায়
হিম ততটুকু এসেছিল যতটুকু হলে পৃথিবী বরফ হয়ে যায়
আমাদের চারপাশের সমস্ত ঝাউগাছ মরে গেছে
পায়ের তলার অবিমৃশ্য বালি শুধু অনন্য প্রতিভা নিয়ে জেগে আছে
রক্তিম প্রতিভা নিয়ে আলো এসেছিল আমাদের সম্পন্ন উঠোনে
তুমি তো জলের মেয়ে নও
বোঝ নি আলো ও আঁধারের সমানুপাতিক শর্ত
ফিরিয়ে দিয়েছো - খুলে দেখনি বুকের দৃঢ়তটে লেগে থাকা
গুল্ম-লতায়,সবুজে লেখা প্রিয় নামের অক্ষর
চিরদিনের অশান্ত ঘর,সংসারের ওপর কালো মেঘ,ঝড়,স্মৃতিজল
অন্যপারে বাস্তুহীন ঠাঁই
গুরুগুরু বোধনের ধ্বনি আর বিসর্জনের বিষাদে
সমস্ত শব্দের কাছে ঋণ বাড়ছে - পশ্চিম থেকে
পায়ে পায়ে উঠে আসা গোধূলির আলো এবং
ফুলতোলা সকালের পথে প্রতীক্ষা করছি;
এই ঋণ কখন তামাদী হয়ে যাবে
নিঃশর্ত লোভ
আমাদের উত্তাল রাতের গল্পগুলো সেই একই রকম -
উৎসবের নীলে নির্ভার জীবন
যা ঘটার ছিল,অনিবার্য্য, - তাপ ও বিদ্যুৎ একাধারে
ক্রৌঞ্চমিথুন জীবনগন্ধে অসম্ভব ফিকে হয়ে আসে
মৃত্যুর লগ্নের জল অনন্ত অভ্যাসে
অতৃপ্ত দু'ঠোঁটে তবু মহাশ্বেত ঘোষণার অনিশ্চয় লিপি
আশা,প্রত্যাশা বা অস্বচ্ছ দিনের দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর
বজ্রাহত মুহূর্তে বিনীত,স্থির কল্পনার টান -
নিঃসাড় পাহাড়ী পথে কথকতা ছিল না কখনও
সেই ঘর,ঘরের নৈরাশ্যে অতীতের জলস্রোত
প্রণয়ের নিবিড়তা এতো যে কঠিন
নিজের হৃদয় খুঁড়ে অবিমৃশ্য বালি
প্রত্যাশাহীন জীবনে পূণর্বার পথে নেমেছ;নিঃশর্ত লোভে
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)