Powered By Blogger

বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১২

অনন্ত ঘুম

আমি জেগে উঠলাম অনন্ত ঘুমের মধ্য থেকে
শূণ্যতার গহীন গহ্বরে,---
সুপ্ত ছিলাম নিশ্চিত,স্বপ্নময় কবরের প্রশান্তিতে

জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের মতো কালো শব্দের কবিতাগুলো
প্রতিনিয়ত আমাকে জাগানোর গাঢ় অভিপ্রায়ে
কূলহীন সাগরে দূঃখের নৌকা বেয়ে
বিক্ষুদ্ধ তরঙ্গমালা ঠেলে
উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করে আসছিল
এবং শেষাবধি সৈকতের তীরে আছড়ে পড়ল

আর আমি জেগে উঠলাম অনন্ত ঘুমের মধ্য থেকে

শোকবার্তা

ঊনকোটি শোকবার্তা লেখা হল হলুদ পাতায়,---
হেমন্তের বিশীর্ণ বিকেলে চোখ ভেসে যায় রঙের ছটায়
অন্তরাত্মা ডুবে থাকে তবু শব্দহীন অন্ধকারে

মোহময়ী সন্ধ্যার অজস্র বাতাসের গান ঠেলে
কত হেঁটে গেছি সপ্তর্ষির দীপ্তিময় পথে
কতবার পেরিয়ে এসেছি শালকীর স্বচ্ছ জল
রেলসেতু

তোমার দুঃখের পাশে,---
পল্লবিত প্রেমে দীক্ষা নেব বলে

প্রবাহমান কালের ঢলে
স্রোত কেটে তরতরিয়ে এগিয়ে চলে মহাজনী নৌকা
কিশোরীর সারল্যমাখা চাহনী দূরে ফেলে

আশুলিয়া রোডের ট্র্যাফিক জ্যামে সময় আটকে থাকে

মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১২

বিদীর্ণ নিঃশ্বাস


নৈঃশব্দের নিভৃত কান্নায়
আমার বুকের মধ্যে যে জল জমেছে
তাতে অনায়াসে নিজেকে ভাসিয়ে নিতে পারো

রাত্রি তার কদর্যতার প্রলেপে বলিরেখা আঁকে
বিষন্ন ব্যাথার আর প্রেত ছায়ায়র চাঁদের আলো
ঝরে পড়ে মৃত্যুর অসহ মুখে

স্তব্দ রাতের বিরাণ প্রহরে প্রার্থনায় অবসন্ন
শীর্ণ হাত উঠে যায় বিক্ষুদ্ধ,নিঃসীম আকাশের দিকে
আর নিঃঝুম চোখের কোণ থেকে দু'ফোঁটা করুণ মেঘ
ঝর্ণাধারা হয়ে নেমে আসে

গাঢ় অন্ধকার শুষে নেয় বিদীর্ণ নিঃশ্বাস

সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১২

বিশ্বাসের নড়বড়ে সাঁকো

বিশ্বাসের নড়বড়ে সাঁকো ভেঙ্গে গেছে কবে জানি,----
তবুও নিজের ছায়া সন্তর্পনে পারাপার করি
অতিপ্রাকৃত রাতের যুপকাষ্ঠে যখন গোধূলি
সশব্দ আর্তনাদের স্বরে ডেকে যায় আর আমি
তীব্রতর আকাঙ্ক্ষায় থরো থরো কেঁপে উঠি বিশীর্ণ পাতার
মতো;একাকী রমণে ক্ষত-বিক্ষত এ আমি মোমের আলোয়
ভূতুড়ে ছায়াকে প্রশ্ন করিঃ ঐন্দ্রিলা কোথায়,আজ
পৃথিবীর যাবতীয় উপভোগ্য সুখে সে আচ্ছন্ন কি না

গ্রীষ্মকালীন নদীর বেগবান স্রোতের মতোন ছিল আমাদের প্রেম
ক্যাম্পাসের মায়াবী বিকেলগুলো কেটে যেত চোখে চোখে
স্বপ্নাচ্ছন্ন রাতগুলো ছিল জোছনার সফেদ ফেনায় মাখামাখি
অলস দুপুর কিংবা নির্ঘুম রাতের নির্জনতা
ভেঙ্গে খান খান হয়ে ভেসে ওঠে চোখের ওপর
আর স্বপ্নগুলো পথ ভুলে ঠাঁই নিত তাঁর সত্ত্বার গভীরে
কারা প্রকোষ্ঠের ঘন অন্ধকারে, রাজবন্দীর সম্মানে

পান্ডুর চাঁদের আলো মিশে থাকে সমগ্র অস্তিত্বে!

শনিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১২

জন্মান্তর

ষাট হাজার বছর পরে রাক্ষসজন্মের কাল শেষ হল

তার আগে এক লক্ষ কুড়ি বছর যক্ষ ও গান্ধর্ব
আর এগার হাজার বছর ধরে অসুর পর্বের শেষে
এখন নরযোণীতে পরিভ্রমণের কালে
স্বাতী তারার ছায়ায়
নরলোকে প্রাকৃত জনের মতো
পূণ্য সঞ্চয়ে অক্ষয় স্বর্গলোকে যাত্রা...।

নিঃসঙ্গ রাত


নিঃসঙ্গ রাতের গল্প অনেক হয়েছেঃ

রাতগুলো ছিল দীর্ঘ;উত্তরের হিমেল বাতাস
থেমে ছিল ঘরের দেয়ালে
পান্ডুর চাঁদের আলো খেলা করত উঠানে আর
অন্ধকার লুকিয়ে থাকত চন্দ্রমল্লিকার ঝাঁড়ে
অতি প্রাকৃত এ্যামোন রাতে
সীমাহীন বেদনায় আমি কেঁপে কেঁপে উঠতাম

প্রভাতের কটাক্ষে বিপন্ন অন্ধকার দূর হলে
জীবনের বিস্তৃততা তেতে ওঠে প্রগাঢ় আশ্লেষে।

শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

আহুরমাজদা

অন্ধকার,পাপ ও অসুন্দরের সাথে যুদ্ধে
দেবতা আর্হিমেনের কাছে আর কতকাল
পরাজিত হবে আহুরমাজদা ?

জরথুস্ত্র নয়,শেষাবধি মানুষকেই আশ্রয় করে বেঁচে থাকো ।