Powered By Blogger

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৪

নীল যবনিকা

উপবন,সমুদ্র সৈকতেমূক ও বিমূঢ় লুয়াশায় অনুবর্তিতার স্বপ্নগুলো জীবন ফোটাতে চেয়েছিল,___ডালপালা অথবা বল্কল খুলে বনচ্ছায়ায় তোমার পাঠ-প্রতিপাঠে পুনর্গঠিত কবিতা এবং মিলিত দিন ও রাত ঝরে যায়।নিষ্পত্র তোমাকে বড় শুষ্ক লাগে।নবআবিষ্কৃত ও পূরানো সব পথে বসন্তদিন---জানালাহীন অন্ধকারেও ডুবে আছে সমস্ত পাহাড়,গাছ ও পাথরে সম্পন্ন বোধের অগোচরে ছিন্ন প্রেম স্খলিত পোষাকে বালিকার স্পষ্টতায় কেঁপে ওঠে;যতটুকু ভালোবাসি কিশোরী শরীর-চোখের তারায় মৃত্যু আঁকা আছে অসংখ্য কাটায়।তন্দ্রাহীনতায় কেটে গেছে সুদীর্ঘ জীবন।প্রেম ও অপ্রেমে সুন্দরের নিয়তি,স্মৃতির সৌধ ভেঙে পড়ে।আলেখ্য গীতিকবিতা কতদিন নিষ্ফলতা নিয়ে প্রবল নদীর জলে নীল যবনিকা ধরে রেখেছিল,তুলেছিল শূন্যতায় অনুর্বর মাটি।

শনিবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৪

ময়ূরপালক দিন

অন্ধ রাতের প্রহরে ভেসে গেল ভর-নির্ভর;ব্রতধারণ,উপবাসে শাখাই শরীর শ্মশানের ঘাটে এসে ঠেকে আছে যা পেয়েছিলামঃঘোরলাগা দিন,স্মৃতিজল,হাঁটুর নীচের অন্ধকার নদীর ওপারে স্থির বৃষ্টিভরা মেঘ এপারে গম্ভীর চৈত্র এঁকে বেঁকে সামনের দিকে হেঁটে যায় ময়ূরপালক দিন

বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০১৪

হিম আর্তনাদ

বৃষ্টিবাহনের সুরে পায়ে পায়ে হেঁটে আসে রাত্রিবেলার নিঃস্বন বিলাপের ভার ধূয়ে নিয়ে জেগে ওঠে সকাল;নিঃসাড় দীর্ঘতর দিন বিসর্পিনী অত্যাচারে ভূর্জপত্র ও তালপাতায় এত গাঢ়,এত স্তব্ধতার সন্তরণ কে লিখে রেখেছে এমন আচ্ছন্ন ঘর,___ দেয়ালে দেয়ালে সিমেন্টের জমাট বাঁধানো স্নেহ পালাবদলের ঘন্টা বাজছে ঐ গুছানো হয়েছে এ্যালবাম,ছাইদানী,মদের বোতল আলস্য মাখানো দুই চোখে বিরহিত ভার মুছে যাবে শোক ও সন্তাপ কন্ঠনালী ছিঁড়ে বের হয়ে আসে হিম আর্তনাদ

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৪

কাব্য

কাব্যের শোষণে যুক্ত পাঠ পুনরাবর্তনে বারংবার কাব্য ধরে রাখে কা সমকালের নৌকায় দূর্বাধান অন্ধ গোধূলি প্রদেশে ব্যাবিলন বালতিতে তুলে নিয়েছিল সভ্যতা কৃষক এবং মজুরের সম্মিলিত প্রয়াসের শোকভেরী--- বিরাট ধ্বংসের থেকে নারী ও পুরুষ নিরীশ্বর কবিতার শান্ত খালের জলের স্রোতে কখনো সমুদ্র এসে মিশে থাকে।

প্রতিচ্ছবি

বিসর্জনের বিষাদ এবং ভাসানের বিমূঢ়তা নিয়ে উত্তরের পথ পার হয়ে দক্ষিণের খালে এসে দাঁড়িয়েছি। সম্ভাবনাহীন বসন্ত আসছে।শীতরাতের প্রহরে উৎসারিত যত গান--- মাতাল দু'হাতে শেষ অস্থিরতান ভাসিয়ে দিলাম মুছে যায় কিশোরীর ভীরু কন্ঠ,পাতার শিশিরবিন্দু। ব্রাক্ষ্মুহূর্তের প্রণত আলোয় শুধু প্রতিচ্ছবি ভেসে থাকে।

সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০১৪

আশ্বাস

প্রেম ও সম্ভোগরত আদিবাসিনীর কালো স্তনবৃন্ত ঘিরে অজস্র বৃষ্টির ফোঁটা,আলো তরল চুম্বন,বহুমাত্রিক শরীর জুড়ে সেইসব সাপেরা ছোবল কাটে;যাদের বিষথলিতে পৌরাণিক স্মৃতিবিভ্রম,স্ফটিকস্বচ্ছ জীবাণুর বিস্তার,একক এবং তুলনারহিত অন্ধকার বনস্থলী।বিহ্বল উপজাতীয় বনে উৎকন্ঠিত বুনোফুল ও ফলের তাৎপর্য্যবিহীন বিন্যাসে যা কিছু ঝরে পড়ে---সুযোগসন্ধানী ও স্বভাবগত লোভ;শ্রেনীসমাধির ভেতর তৎপর,নেশাতুর হলুদ পাতার স্তুপ।বনগত বনানী ও বিভা ঠেলে সর্বস্বতার শৃঙ্খলে এই সায়াহ্নঅবধি নিমগ্ন মাকড়সার জাল বোনা এবং পোকাদের ঘোড়দৌড় দেখি।সীমাহীন কুয়াশার ভেতর যে প্রাণ জেগে ওঠে-অনেকের মতো আমিও তাদের আশ্বাস দিইঃবেড়ে ওঠ,বেড়ে ওঠ।

শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০১৪

নিশ্চিত জীবন

অবোধ সন্ন্যাসে বুঝি নি রুপালী মিথ্যা কিংবা দ্বাদশীর বুক ভাঙা আলো কোন পথে বেঁকে গিয়েছিল সামর্থ্য ছিল না শ্যামবিকাশের অন্য পারে হেঁটে যেতে কবর সারির পাশাপাশি এপিটাফগুলো মুছে দিয়ে শাপগ্রস্ত দিন ও রাতের শ্রান্তিভারের সমস্ত বৃত অবসানে ঠান্ডা পাথরের ঘরে নিশ্চিত জীবন

ঘূণাক্ষরে লেখা পাঠ

কালো ও বিকৃত মুখের পাশাপাশি ছায়ার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে অর্ধ দৃষ্টিপাতে শুধু গুনে গেছ ঢেউ,ঋতু,গোধূলি,আলোকবর্ষ উৎকীর্ণ পাথর হাতে লাঙলের ফলার মুখোমুখি লোনামাটি,___ পুনর্বিন্যাসিত নক্ষত্র আনুভূমিক মাপ এবং বজ্রে উৎপাটিত বৃক্ষে--- ঘূণাক্ষরে লেখা পাঠ তুমি পাঠ কর জলের ভেতর যতটুকু আলোর শোষণ ভাঙা ভিক্ষাপাত্রে এর বেশী চাই নি কখনো আরাধ্য অক্ষরে স্তব,দু'হাতে বিলিয়ে নির্বাসন আমি পাহাড়ের পথ ধরে ক্রমশঃ হাঁটছি পথ অর্থাৎ জয়ের এক অদম্য বাসনা